জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি রেল ভবনের দিক থেকে নতুন সংসদ ভবনের প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে সরাসরি সংসদের গরুড় গেট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তবে সময়মতো সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী তাকে ধরে ফেলে।
২৫০ কোটির প্রাসাদ! গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার… ধংসস্তূপে মিলল ‘গভীর জলের মাছ’! কে জানেন?
নিউ গড়িয়ার অভিজাত আবাসনে খুন! খাটের তলায় উঁকি দিতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! গৃহকর্ত্রীর এ কী অবস্থা
advertisement
ওই ব্যক্তি কেন সংসদে ঢুকেছিল, আদৌ কি কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, সেই সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা দলের হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে আপাতত SAIL এবং IB–এর যৌথ দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগেও সংসদ ভবনে একাধিকবার নিরাপত্তা ফাঁকের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এক যুবক সংসদ ভবনের অ্যানেক্স ভবনে ঢুকে পড়ে। ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল, যেখানে দেখা যায় ওই যুবক হাফপ্যান্ট ও টি-শার্ট পরে সংসদ চত্বরে ঢুকছে এবং পরে CISF জওয়ানরা তাকে আটক করে। তল্লাশিতে কোনো আপত্তিকর বস্তু মেলেনি।
২০২৩ সালেও সংসদ ভবনে ভয়াবহ নিরাপত্তা ফাঁকির ঘটনা ঘটেছিল সংসদ হামলার বার্ষিকীতে। সেদিন সংসদ অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই যুবক — সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। তারা লোকসভা চেম্বারের ভিতরে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। তবে উপস্থিত সাংসদরা তাদের ধরে ফেলে। একই সময়ে বাইরে সংসদ ভবনের সামনে নীলম আজাদ ও অমোল শিন্ডে হলুদ ধোঁয়া ছাড়ে।
এই ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাকি দুই অভিযুক্তের মধ্যে ছিলেন মহেশ কুমাওয়াত এবং ললিত ঝা। এদের মধ্যে ললিত ঝাকেই গোটা ঘটনার মূলচক্রী বা ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে মনে করা হয়। দিল্লি পুলিশ ওই নিরাপত্তা ফাঁকি মামলায় পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ৯০০ পাতার বেশি চার্জশিট জমা দেয়।