রবিবার দুপুর ২.৩০ টেয় ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হবে নয়ডা। এমন ধ্বংসের ঘটনা ভারতে, সম্ভবত বিশ্বেও কম। সেক্টর 93A-এর নিয়মবহির্ভূত নির্মাণ দু’টি বিশাল টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে মারাত্মক পরিকল্পনা, প্রসন্ন গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পার্থর!
প্রতিটি টাওয়ারে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত ফ্লোর সংখ্যা ছিল ৪০। আদালতের বাধার কারণে সবটা নির্মাণ করা যায়নি। কিছু নির্মাণ বিস্ফোরণে ভেঙে ফেলার আগে এমনিই ভেঙে ফেলা হয়। এখন অ্যাপেক্স বিল্ডিংয়ে মোট ফ্লোর সংখ্যা ৩২। সিয়ানে রয়েছে ২৯ টি ফ্লোর। পরিকল্পনা ছিল ৯০০ টিরও বেশি ফ্ল্যাট তৈরি, যার দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই বুক করা বা বিক্রি করা হয়েছে। সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, তোলপাড় শাসক শিবির!
রবিবার ছুটির দিন, তবু যানবাহনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটা ভেবে রেখেছে প্রশাসন৷ আজ বন্ধ থাকবে বেশ কয়েকটি রাস্তা৷ ডিসিপি রাজেশ এস জানিয়েছেন, ভাঙার কাজ শেষ হওয়ার আধঘণ্টা পরে এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে৷ ট্রাফিক বিশেষজ্ঞরা সমস্ত যানজট পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিশাল দুই ভবন গুঁড়িয়ে যাওয়ার সময় ভিত আলগা হয়ে সামান্য কম্পন সৃষ্টি করবে, রিখটার স্কেল অনুযায়ী যা একটি সাধারণ ভূমিকম্পের এক তৃতীয়াংশের সঙ্গে তুলনীয়। জানিয়েছেন এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা। এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে ফেলতে দক্ষিণ আফ্রিকার জেট ডেমোলিশনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।
“দিল্লি এনসিআর সিসমিক জোন ৪-৫-এর মধ্যে পড়ে। এর মানে হল, বেশিরভাগ বিল্ডিংগুলিকেই হাই ফ্রিকোয়েন্সি ভূমিকম্প প্রতিরোধ করতে সক্ষম হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে। আজকের বিস্ফোরণ থেকে নির্গত কম্পন যে কোনও ছোটো ভূমিকম্পের চেয়েও হালকা হবে,” বলেন উৎকর্ষ মেহতা। অতএব, বিস্ফোরণের পরে যদি কিছু হয়েও থাকে তা খুবই সামান্য ক্ষয়ক্ষতি। কিছু জানালার ফাটল দেখা দিতে পারে যা দ্রুত মেরামত করবে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞরা। যখন টুইন টাওয়ারগুলি ধসে পড়বে, অ্যাপেক্স টাওয়ারের আনুমানিক ৪১,৭২০ টন ওজনের ধংসাবশেষ আর সিয়ানের প্রায় ১৮,১৫০ টনের ধ্বংসাবশেষ মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়বে।
পিলারের প্রায় ৭,০০০ গর্তে এই পরিমাণ বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে। ২ মিটার করে লম্বা এই গর্তগুলি। মানে ১৪ কিমি গর্তে বিস্ফোরক ভরা। সবটাকে একত্রিত করতে, ২০,০০০ সার্কিট বসানো। এমনভাবে বিস্ফোরণ হবে যে টাওয়ারগুলি সোজা নীচে পড়ে যাবে৷