জানা গিয়েছে, গতকালই একজন জঙ্গিকে খতম করা হয় ৷ এদিন সকালে আরেকজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে ৷ আরও এক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তার খোঁজে চলছে তল্লাশি ৷ বিল্ডিংয়ের উপরে ড্রোনের সাহায্যে নজর রাখা হচ্ছে ৷ কেউ যাতে পালাতে না পারে তাই ইডিআই ভবন ও সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী ৷
advertisement
ইডিআই ভবন লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খতম করতে এখনও পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ টি রকেট, মেশিন গান ও বিস্ফোরক ৷ ক্রমাগত সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিল্ডিংয়ের বেশিরভাগ অংশই। ভস্মীভূত বহুতলের তিনটি তলা ৷
জানা গিয়েছে, উপত্যকায় অশান্তির জেরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের বিল্ডিংটি ৷ সোমবার ভোরে হোস্টেলের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় হয় সেখানকার এক কর্মীর ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা বাহিনী ৷ শুরু হয় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ ৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানা ৪৮ ঘণ্টার লড়াই দেখেছিল পাম্পোরের সেমপোরা। সোমবার ফিরে এল সেই ছবি। এদিন সকালে আচমকাই ঝিলমের ধারে, এন্টাপ্রেনিয়ারশিপ ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিউটের একটি অংশে আগুন ও কালো ধোঁয়া দেখতে পান এক কর্মী। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে যান নিরাপত্তারক্ষী ও সেনা জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই।
জঙ্গিরা আইইডি বিস্ফোরণও ঘটায়। তার জেরে আগুন ধরে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি অংশে। জওয়ানদের পালটা লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত কোণঠাসা হয়ে পড়ে হামলাকারীরা। তারা নদীর ধারের দিকের ঘরে আশ্রয় নেয়। তবে, জলপথে জঙ্গিরা পালাতে পারে এই আশঙ্কায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি।