এ কথা হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু খবরটি একেবারে সত্যি! আসলে ওই রাজ্যের বুরহানপুর জেলায় চার বেডরুমের একটি বাড়ি রয়েছে। যা হুবহু তাজমহলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। তিন বছরে প্রায় পাঁচশোরও বেশি কারিগরের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে এক শিক্ষাবিদের স্বপ্নের এই বাড়িটি। যুগ যুগ ধরে যেহেতু ভালবাসার চিহ্ন বহন করছে তাজমহল, তাই নিজের স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য এর থেকে ভাল উপহার আর কী-ই বা হতে পারে!
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘ইডি আর আমার মধ্যে…’ আচমকা খড়্গহস্ত সায়নী, ভয়ঙ্কর রেগে যা বলে ফেললেন…! তোলপাড়
এই ভাবনা থেকেই এই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। রয়েছে চারটি বেডরুম এবং একটি হল। ৯০ বাই ৯০ ফুটের তাজমহল আদলে তৈরি বাড়িতে বসানো হয়েছে মকরানা মার্বেল। এটি এক ধরনের নরম মার্বেল। যা সহজেই জলে ধুয়ে ফেলা যায়।
আরও পড়ুনঃ সে কী! তৃণমূলের শুভেন্দু এবার ভোটে লড়ছেন বিজেপির সমর্থনে! হাসির রোল তৃণমূলের অন্দরে
শিক্ষাবিদ আনন্দ প্রকাশ চোকসে নিজের স্ত্রী মঞ্জুষাকে উপহার দিয়েছেন বাড়িটা। তিনি জানান, “মুমতাজ আসলে আমাদের বুরহানপুরেই প্রয়াত হয়েছিলেন। এটা একটি প্রাচীন শহর। এই কারণেই আমার বাড়িটি তাজমহলের আদলে তৈরি করিয়েছি।” বাড়িটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই তা চর্চায় উঠে এসেছে। সকলেই প্রশংসা করছে কারিগরদের। আর সবথেকে বড় কথা হল, শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসছেন এই ‘তাজমহল’ চাক্ষুষ করার টানে।
এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ চোকসের তত্ত্বাবধানে। তাঁর বক্তব্য, সুরাত এবং আগ্রার প্রায় পাঁচ শতাধিক কারিগর এটি তৈরি করেছেন। এটা শুধু তাজমহলের আদলেই তৈরি নয়, তাজমহলের মতোই এখানে বসানো হয়েছে মকরানা মার্বেল। বাড়িতে ২ ফুট ৯-৯ ইঞ্চি ব্যবধানে দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। এর বিশেষত্ব হল, এটি প্রায় ১২ মাস ঠান্ডা থাকে। বাড়ির বাইরের এবং ভিতরের তাপমাত্রার মধ্যে প্রায় ১০ ডিগ্রি পার্থক্য রয়েছে। তবে বুরহানপুরের ‘তাজমহল’ কিন্তু আগ্রার বিশ্ববন্দিত তাজমহলের তুলনায় তিন গুণ ছোট।