বৈঠক শেষ করেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য৷ কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটালেন৷ ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লিখলেন, 'কংগ্রেসে থেকে দেশসেবা করতে পারছি না৷'
ট্যুইটারে লিখলেন, 'একেবারে নতুন করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করার জন্য এটাই সেরা সময়৷ মানুষের সেবা করতেই রাজনীতি করি৷ কিন্তু কংগ্রেসে থেকে তা করা সম্ভব হচ্ছে না৷'
জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছাড়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বললেন, 'মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ তারা সরকার গড়তে পেরেছে ঠিকই, কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারল না৷'
জ্যোতিরাদিত্যকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস নেতা গৌরব পান্ধির ট্যুইট, 'বিশ্বাসঘাতক সব সময়ই বিশ্বাসঘাতক৷ এই বিশ্বাসঘাতকতার পরে আর কোনও আলোচনারই দরকার নেই৷ পিরিয়ড!'
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারেনি কংগ্রেস৷ রাতভর চেষ্টার পরেও সিন্ধিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং জানান, জ্যোতিরাদিত্যর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে৷ তাই তিনি ফোন ধরছেন না৷
সোমবার রাতারাতি মধ্যপ্রদেশ সরকার সঙ্কটে পড়ে যায়৷ মধ্যরাতে হঠাত্ সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৬ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সরকারের বিরুদ্ধে৷ রাতেই ২২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন৷
হাতে ১২০ বিধায়ক, সংখ্যগরিষ্ঠতার অঙ্ক থেকে যা মাত্র ৪ আসন বেশি৷ ফলে আসন সহজে টলমল হবে, সে কথা বুঝতে পেরেছেন কমলনাথ৷ ওদিকে ঝোপ বুঝে কোপ মারল বিজেপিও৷