পেট্রোল-ডিজেলের দাম আগুন। প্রতিদিন দাম বাড়ায় চরমে দেশবাসীর ক্ষোভ। কর্ণাটকের পর এবছরই একাধিক রাজ্যে ভোট । সমস্যার সমাধানে বিকল্প নিয়ে তাই ভাবতেই হচ্ছে কেন্দ্রকে। ভাবতে হচ্ছে, তার প্রমাণ এনিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপি সভাপতিও।
দলীয় সভাপতি সরকারী সিদ্ধান্তের কথা বলে দিলেন কীভাবে ? যদিও বা বললেন, কীভাবে দাম কমবে, তা এড়িয়ে গেলেন কেন? অর্থনীতির নিয়মেই স্পষ্ট, জ্বালানি নিয়ে এই মুহূর্তে বিকল্প পথ নেই কেন্দ্রের।
advertisement
মোদি সরকারের আমলেই পেট্রোল ও ডিজেলের দামে সম্পুর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ তোলা হয় ৷ তেলের দাম তলানিতে থাকার সময় বাজেটে অয়েল রিজার্ভ ফান্ড তৈরি হয় ৷ গত ৩ বছরে তা কাজে লাগানো হয়নি ৷ করের হার বেড়েছে ডিজেলে তিনগুণ ও পেট্রোলে দ্বিগুণ ৷ জিএসটির আওতায় আনা হলেও দ্রুত দাম কমার সম্ভাবনা নেই ৷ অর্থাৎ দাম কমানো নিয়ে সব বিকল্প বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকারই। এমনকী রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির সামনেও পথ বন্ধ। অবস্থা এমনই যে সরকারি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও।
অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি বিশ্রামে । সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তাই পীযূষ গোয়েলের হাতে । দামে রেহাই দিতে গেলে বিপুল টাকার রাজস্ব ক্ষতি স্বীকার করতে হবে তাঁকে। তা হলেই একমাত্র সাময়িক সমস্যা মেটার আশা ।