মুর্শিদাবাদ: রাত হলেই নাকি শোনা যায় নুপুরের শব্দ। মনে হয় পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে কেউ। এই রকমই ভৌতিক আতঙ্কে আপাতত নাজেহাল ধুলিয়ান(Dhulian) বানিচাঁদ আগরওয়ালা বালিকা বিদ্যালয়(Banichand Agarwal Girls School) হস্টেলের ছাত্রীরা। ভুত তাড়াতে ডাক পড়ে মৌলানা ও পুরোহিতের। মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান বানিচাঁদ আগরওয়ালা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের সরকারি হোষ্টেলে(Hostel) প্রায় ১০০জন ছাত্রী থাকে। রাত হলেই আবাসিকরা শুনতে পাচ্ছে নানা শব্দ। তবে সেই শব্দ সত্যিই ভুতের(Ghost) নাকি দুস্কৃতীদের তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ধুলিয়ান পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই স্কুলের পাশেই হোষ্টেল। কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল স্কুল ও হোষ্টেল। যদিও সরকারের নির্দেশে ইতি মধ্যেই খুলে গিয়েছে স্কুল ও হোষ্টেল । তবে স্কুল খোলার পরে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও ঘটনার সুত্রপাত হয় পাঁচ দিন আগে। ছাত্রীদের দাবি, সন্ধ্যা নামলেই নুপূরে ছমছম আওয়াজ শোনা যায়। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ছাত্রীরা। প্রয়োজন থাকলেও গভীর রাত্রে ভয়ে রুম থেকে বেরোতে পারছে না ছাত্রীরা। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ কে জানানো হলে বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছেন তারাও। আতঙ্ক তাড়াতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও মাওলানাদের ডেকে দোয়া ও প্রার্থনা(Prayer) করান হস্টেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি একই জলের বোতলে মাওলানা পড়লেন কোরআনের সুরা, পুরোহিত পড়লেন মন্ত্র।পুরোহিতের দাবি, আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম তেমন কিছু নেই। আমরা আজকে মন্ত্র উচ্চারণ করলাম।মৌলানা সাহেব বলেন, আশাকরি এখানে কিছু থাকবে না। আমরা মন্ত্র পড়লাম প্রার্থনা করলাম যাতে এখানে আর কোন অসুবিধা না হয়। প্রধান শিক্ষিকা ডঃ কাকলী ঘোষ জানান, পাঁচদিন ধরে ছাত্রীদের মুখে ভুতের কথা শুনছি। প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও আজকে ধর্মগুরুদের সাহায্য নিলাম। মৌলানা সাহেব ও পুরোহিত এসে ওনাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের(West Bengal Biggyan Mancha) সদস্য পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায় জানান, ভুত বলে কিছু হয়না। এটা দুস্কৃতীদের কাজ।