আরও পড়ুন: Atal Bihari Vajpayee: বাজপেয়ীকে দেখতে দুপুরের বিমানে দিল্লিতে মমতা
বাজপেয়ী না থাকলে নাকি প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না নরেন্দ্র মোদি ৷ অনেকেই জানেন না যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জীবনের এক সময় রাজনৈতিক জীবন ত্যাগ করে অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন ৷ সূত্রের খবর, সেই সময় মোদি আমেরিকায় পড়াশোনা করছিলেন ৷ সেই সময়ই আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ৷ বাজপেয়ী যখন জানতে পারেন যে মোদি রাজনীতি ছেড়ে সেখানে রয়েছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডেকে পাঠান ৷ দেখা করার তিনি মোদিকে বলে ‘এইভাবে পালিয়ে কাজ হবে না, কতদিন এখানে থাকবে? দিল্লি এসো ...’
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়াদ উত্তীর্ণ পঞ্চায়েতগুলিতে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
কেন অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন মোদি ?
প্রবীণ সাংবাদিক বিজয় ত্রিবেদীর ‘হার নেহি মানুঙ্গা-অটল এক জীবন গাথা’ বইয়ে ১২ নম্বর অধ্যায়ে এই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৷ বাজপেয়ী ও মোদির আমেরিকার সাক্ষাৎকারের পর নাকি মোদি দিল্লি ফিরে আসেন ৷ অশোক রোডের পুরনো অফিসে মোদিকে একটি ঘর দেওয়া হয় ৷ সেখান থেকে সংগঠন আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ সেই সময় গুজরাতে কেশুভাই পটেলের বিরোধীদের সমর্থন করার অভিযোগে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ৷ সেই সময় মোদি যে ঘরে থাকতেন সেখানে কেবল একটি চৌকি ও দুটি চেয়ার ছিল ৷
আরও পড়ুন: টাকার দামে সর্বকালীন রেকর্ড পতন! ধাক্কা খেতে পারে দৈনন্দিন জীবনও
মোদির কাছে যখন এল বাজেপয়ীর ফোন...
অক্টোবর ২০০১ মোদির কাছে বাজপেয়ীর ফোন আসে ৷ তাকে দ্রুত দেখা করার জন্য ডাকা হয় ৷ ২০০০ সালে গুজরাতে আহমেদাবাদ ও রাজকোটের পুরসভা নির্বাচনে হেরে যায় বিজেপি ৷ ২০০১ সেপ্টম্বরে বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনেও হেরে গিয়েছিল বিজেপি ৷ পার্টির হাইকমান্ডের মনে হয় এরকম চললে ২০০৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যেতে পারে বিজেপি ৷ তাই কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ বাজপেয়ীর সম্মতিতে ২০০১ অক্টোবর ৭ মোদিকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ এখান থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাস্তা খুলে যায় মোদির জন্য ৷