১০ বছর পর আচার্যের উপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। এই অনুষ্ঠান ঘিরে সেজে উঠেছে গোটা শান্তিনিকেতন। আচার্য নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এবারের সমাবর্তনে থাকছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
আরও পড়ুন: মোদির পরে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন হাসিনা
সকাল ১০টা নাগাদ হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন মোদি-হাসিনা। পৌষমেলা মাঠে হেলিপ্যাডে নামার পরে দু'জনে যাবেন উত্তরায়ণে। সেখান থেকে আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা। আম্রকুঞ্জে অনুষ্ঠানের পরে দুই প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনে। মূল অনুষ্ঠানের পর দুপুরে রথীন্দ্র অতিথিগৃহে মধ্যাহ্নভোজের সারবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শান্তিনিকেতনে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী
এরপরই বৈঠকে বসবেন মোদি-হাসিনা। বৈঠকের একটা অংশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাকতে অনুরোধ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে তিস্তা জলবন্টন নিেয় আলোচনা হতে পারে। গোটা অনুষ্ঠান ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শান্তিকেতনকে।
বুধবার থেকেই শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনীও থাকছে। দিনভর হেলিকপ্টারে চলছে নজরদারি।
শান্তিনিকেতনকে ৪০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ২০টি অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ডিগ্রি প্রাপক এবং কর্মী, অধ্যাপকদের বিশ্বভারতীর পরিচয়পত্র ও আমন্ত্রণপত্র নিেয় মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে পর্যটকদের গতিবিধি। বেলা ২.৩০ নাগাদ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক সেরে বিশ্বভারতী ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক সেরে বিকেলেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।