মঙ্গলবার ছিল অভিযানের তৃতীয় দিন ৷ রুদ্ধশ্বাস অপারেশনের এদিন ছিল শেষ পর্যায় ৷ সকালে বৃষ্টি শুরু হয় উদ্ধারকাজ নিয়ে বাড়তে থাকে আশঙ্কা ৷ আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কাটিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০:০৮ টা নাগাদ চার কিশোর ফুটবলার সহ তাদের কোচকে গুহা থেকে বার করে আনার জন্য শুরু হয় তোড়জোড় ৷ শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় ৫টা নাগাদ যখন শেষ জনকে গুহা থেকে বার করে আনা হয়, তখন হাঁফ ছাড়ে সকলে ৷ অভিযানকারী দলের উদ্দেশ্যে গোটা বিশ্ব থেকে তখন ভেসে আসছে সাফল্যের বার্তা ৷
advertisement
গতকাল অবধি মোট ৮ জন কিশোর ফুটবলারকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ তৃতীয় দিনের অভিযান শেষে ৪ কিশোর ফুটবলার সহ তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সফল রেসকিউ টিম ৷
আরও পড়ুন
যোনির অঙ্গছেদ অর্থাৎ খাতনা প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট
২৩ জুন কোচের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা লুয়াং ল্যাঙে আটকে পড়ে ১২ জন কিশোর ফুটবলার। আটকে পড়া ১৩ জনকে বের করতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছে আমেরিকা, ব্রিটেন, সুইডেন সেনাও।
সাহস করে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত, আর তাতেই আসে সাফল্য ৷ অভিযানে অংশ নেন ৫০ জন বিদেশি ও ৪০ জন তাই নেভি সিল সদস্য ৷ অত্যন্ত সংকীর্ণ পথে, চরাই-উৎরাই পেরিয়ে গুহার মধ্যে চলে অভিযান ৷ বুক পর্যন্ত জল পেরিয়ে হাঁটতে হয় ২ ঘণ্টার পথ ৷ তাতেও হার মানেননি অভিযানকারী দল ৷ ১৮ দি গুহায় বন্দি থাকার পরে ১২ জন কিশোর ও তাদের কোচের অফুরন্ত জীবনীশক্তি তাদেরও শক্তির যোগান দিয়েছিল ৷ আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও প্রবল বৃষ্টিতে গুহায় ভাঙনের বিপদ সহ একাধিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে ১৩ জনকেই নিরাপদে উদ্ধার করার অসম্ভব মিশনকে সফল করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্ধারকারী দল ৷