৯২ বছর বয়সি ফ্রান্সিস আর্নেস্ট প্ল্যাটেল এবং তাঁর ৯০ বছর বয়সি স্ত্রী নরমা জুন প্ল্যাটেল দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত নরমা যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সেখানেই কোমরের হাড় ভেঙে ভর্তি হন স্বামী ফ্রান্সিসও। নরমার পাশের বেডেই। সত্তর বছরের দাম্পত্য জীবন, নানা সুখ-দুঃখের মুহূর্তে একে অপরের পাশে থেকেছেন! শেষ সময়েও ছেড়ে গেলেন না! রইলেন পাশেই! সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানিয়ে, হাসপাতালের বিছানাতেই হাতে হাত রেখে অন্য জগতে চলে গেলেন ফ্রান্সিস ও নরমা।
advertisement
হাসপাতালেই হঠাৎ একদিন নরমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। চোখের সামনে নরমার এরকম অবস্থা দেখে চঞ্চল হয়ে ওঠেন ফ্রান্সিস। দায়িত্বে থাকা নার্স পরিদর্শনে এসে দেখেন, দুজনের কারও মধ্যেই আর প্রাণ নেই। শুধু মুঠিতে ধরে থাকা হাত ছেড়ে দেননি শেষ মুহূর্তেও! যেমনভাবে হাতে হাত রেখে কাটিয়েছিলেন জীবনের ৭০টা বছর, শেষ মুহূর্তেও একইভাবে হাতে ধরে থাকলেন ফ্রান্সিস ও নরমা। নজির গড়লেন অমর প্রেমের।
তাঁদের মেয়ে জানিয়েছেন, নরমা ছিলেন নামি পরিবারের মেয়ে, কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা। অন্যদিকে ফ্রান্সিস একেবারেই সাধারণ পরিবারের ছেলে। একে অন্যকে চিঠি লেখার মধ্যে দিয়ে প্রেমের শুরু। অসুস্থ অবস্থাতেও যাতে তাঁরা একই সঙ্গে থাকতে পারেন, তাই হাসপাতালে তাঁদের একই ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-মিশর নয়, প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি পৃথিবীর প্রাচীনতম পিরামিড রয়েছে এই দেশে--