বীরভূমের মহঃবাজার ব্লকের কেওট পাড়ায় রয়েছে এই ১৮ পুতুলের দুর্গা। এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষদের মধ্যে রয়েছে আলাদা উৎসাহ। এখানে রয়েছে স্থায়ী দুর্গা মন্দির। ভট্টাচার্য্য পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাদের এই দুর্গাপুজোর বয়স আনুমানিক ৫০০ বছর পার করেছে। আট পুরুষ ধরে তাদের এই দুর্গা পুজো হয়ে আসছে।
advertisement
একচালায় রয়েছে ১৮ পুতুলের এই দূর্গা পূজোর প্রতিমা। এই দুর্গা প্রতিমার নাম এমন হওয়ার মূলে রয়েছে এই এক চালায় রয়েছে ১৮টি মূর্তি। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ, কার্তিক, অসুর, শিব, জয়া, বিজয়া, নন্দী, ভৃঙ্গী, দুজন মাঝি এবং এই সকল দেব দেবীদের বাহন মিলে মোট ১৮ টি মূর্তি থাকে (Bengal news, Birbhum)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই দুর্গা পুজোর নাম হয়েছে ১৮ পুতুলের দুর্গাপুজো।
পরিবারের সদস্য অলকেন্দু ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, "এই পুজোর প্রথম উদ্বোধন করেছিলেন কাশীনাথ ভট্টাচার্য। আনুমানিক ৫০০ বছর আগে এই পুজো শুরু হয় (Durga Puja)। তারপর আমরা বছরের পর বছর ধরে আট পুরুষ ধরে এই পুজো করে আসছি। আমাদের এই পুজোর প্রতিমাতেই রয়েছে বিশেষ বিশেষত্ব। যেখানে সচরাচর মূর্তি ছাড়াও থাকেন জয়া, বিজয়া, নন্দী, ভৃঙ্গী, দুজন মাঝি।"
পুজোর রীতির ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। যেমন বিজয়া দশমীর দিন বাদে প্রতিদিনই অন্নভোগ হয়ে থাকে। অন্নভোগে থাকে সাত আট রকমের ভাজা এবং অন্যান্য সামগ্রী। তবে এই অন্ন ভোগের সঙ্গে মাছের টক বাধ্যতামূলক।
মাধব দাস