আর্জেন্টিনার স্মৃতিতে কালো অধ্যায়ের মতো ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে হার, তাছাড়াও ২০১৫ ও ২০১৬-র কোপা আমেরিকার ফাইনালে হার ৷ এবারের বিশ্বকাপে এই পরিসংখ্যান বদলাতে মাঠে নামছে নীল –সাদা ব্রিগেড ৷ জর্জ সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার কোচিং দায়িত্ব সামলানোর পর থেকে দল উন্নতি করেছে ৷ যোগ্যতা অর্জন পর্বে একটা সময় রীতিমতো হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিল দলের , কিন্তু সেই টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট জিতে নিয়েছে তারা ৷
advertisement
আরও পড়ুন - ইউরোর দুঃখ অতীত, বিশ্বকাপ ঘরে তোলার ফোকাস নিয়ে রাশিয়ায় দেশঁর ফ্রান্স
এদিকে দলের গোলের নিচে এবার আর্জেন্টিনার সেরা পছন্দ দাঁড়াতে পারছেন না ৷ কারণ চোট পেয়েছেন সার্জিও রোমেরো ৷ সেক্ষেত্রে গত ফুটবল মরশুমে চেলসির জার্সি গায়ে খেলে কাবালেরো-র ওপরই ভরসা রাখতে হবে থিঙ্কট্যাঙ্ককে ৷ যার অভিজ্ঞতার ঝুলি খুব একটা সমৃদ্ধ নয় ৷
সাম্পাওলি নিজের চিরাচরিত ৪ জনের ডিফেন্স লাইন নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করেন ৷ তিনি বিশ্বকাপেও সেই ছকেই দল সাজাবেন ৷ ডিফেন্স লাইনে কোচের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন টাগলিয়াফিকো, ওটামেন্ডি, ফাজিও, মেরকাডো ৷
মিডফিল্ডে আর্জেন্টিনা কোচের দুই বিকল্প দুই ধরণের ফুটবলার ৷ ৮ জুন ৩৪ হবেন জ্যাভিয়ের ম্যাসচেরানো, যিনি খেলেন দুর্বল চাইনিজ লিগে ৷ অন্যজন ২২ বছরের লো সেলেসো ৷ যিনি মধ্যম মানের প্লেয়ার হলেও আক্রমণ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ৷ মিডফিল্ডের বল সাপ্লাই জোরালো না হলে ফ্রন্টলাইন অনেকটাই অকেজো হয়ে যায় ৷
ফ্রন্ট লাইনে মেসির ওপর সিংহভাগ দায়িত্ব থাকলেও তাদের বিকল্পদেরও তৈরি থাকতে হবে ৷ হিগুয়েন বা অ্যাগুয়েরোকেও থাকতে হবে তৈরি ৷
এবারের আর্জেন্টিনা দল সিনিয়র-জুনিয়রের মিশেলে তৈরি ৷ তাদের যেমন তরুণ লো সেলেসো রয়েছে তেমনি রয়েছে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে নামা মেসি ৷ সব মিলিয়ে এবার নয় নেভারের মন্ত্র নিয়ে মাঠে নামতে চলেছেন মেসি ৷