ডিমবিহীন আটা দিয়ে বানানো কেক
এই স্বাস্থ্যকর কেকটি তৈরি করতে, ওভেনটিকে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রি-হিট করতে হবে। হোল হুইট আটা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, দরুচিনি গুঁড়ো এবং বাদাম সহ সমস্ত শুকনো উপাদান একসঙ্গে মেশাতে হবে। আরেকটি পাত্রে দই ও তেল একসঙ্গে ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর এক পাত্রে শুকনো উপাদানগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। জল যোগ করে পুরো মিশ্রণটা সমান করে আনতে হবে। বেকিং পাত্রের নিচে তেল দিয়ে ব্যাটারটিকে ঢেলে দিতে হবে। এর পরে, ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এক ঘন্টা পনেরো মিনিটের জন্য বেক করলেই হবে। একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য নিয়ে আপোস নয়, ২০২৩ সালে পুরুষদের ফিট থাকার টোটকা থাক সঙ্গে!
সকালের খাবারে মুগ ডালের চিলা
প্রথমে এক কাপ মুগ ডাল ভাল করে ধুয়ে সেটাকে এক কাপ জলে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। জলটা ভাল ভাবে ঝরিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিতে হবে। স্বাদ মতো মরিচ, আদা এবং জিরে যোগ করা যেতে পারে। এবার ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। ব্যাটারে হলুদ, ধনে ও লবণ দিতে হবে। ভাল ভাবে মেশাতে হবে আর জল যোগ করার সময় মনে রাখতে হবে একটি ঘন ব্যাটার তৈরি করার কথা- বেশি তরল যেন না হয়ে যায়। এবার গরম তাওয়ায় মিশ্রণটি ঢেলে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে দিতে হবে। অনেকে চিলার উপরে অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দেন। এবার এটাকে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না হতে দিতে হবে। দুই পাশে চিলা উল্টিয়ে দিয়ে ভাজতে হবে। ধনেপাতার সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করলেই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু, আসল কারণ জানতে NIA তদন্তের দাবি
নতুন বছরে নতুন চাট
মাঝে মাঝে মনে হয় হালকা-পলকা মুখ চালালে কেমন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের প্রথম ধাপ। আর তার জন্য স্প্রাউট চাট বানালে কেমন হয়? স্বাস্থ্যকর খাবারের অভিজ্ঞতার জন্য? কল বের হওয়া ছোলা, একটু সেদ্ধ সয়াবিন, স্প্রাউট, রাজমা, কুচি করা পনির, কাটা ধনে, কাটা পেঁয়াজ, লবণ, চাট মসলা এবং ভাজা জিরে গুঁড়ো, সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে হবে। আর কিছু লাগবে না, এটাকে প্লেটে পরিবেশন করলেই কেল্লা ফতে। মন চাইলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে দিলেই হল।
দুপুরের খাবারে ফুলকপি-চিকেন
একটি প্যানে সরষের তেল গরম করে তাতে জিরে ফোড়ন দিতে হবে। যখন এটা ফাটতে শুরু করবে, তখন কাটা পেঁয়াজ যোগ করতে হবে। এরপর তাতে আদা ও রসুনের পেস্ট মেশাতে হবে। পুরো মিশ্রণটা নাড়তে নাড়তে বাকি সব শুকনো মশলা এবং স্বাদ অনুসারে লবণ যোগ করতে হবে। এক মিনিটের জন্য ভেজে, হাড়বিহীন মুরগি এই মশলায় দিয়ে দিতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে এরপর। কড়াইতে কাঁচা লঙ্কা ও এক কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। এবার প্রায় ২৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। মুরগি সেদ্ধ হয়ে গেলে, ফুলকপি মেশাতে হবে। আর আবারও ঢেকে আরও ১০-১২ মিনিট রান্না করতে হবে। উপরে কিছু ধনে পাতা দিয়ে লেবুর রস চেপে দিলে দুপুরের খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আঁচ বন্ধ করে রুটি বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করাই যা বাকি!
কিনোয়া খিচুড়ি দিন শেষে
প্রথমে ১ কাপ কিনোয়া, ১ কাপ কাঁচা মুগ ডাল, পেঁয়াজ, আদা, জিরে, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, লবণ এবং তেল জড়ো করে রাখতে হবে। কিনোয়া এবং মুগ ডাল ধুয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। প্রেসার কুকারে কিনোয়া, মুগ ডাল এবং জল যোগ করে ৩টি সিটি পর্যন্ত রান্না করতে হবে। অন্য দিকে, একটি ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং কাঁচা লঙ্কার একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার একটি সসপ্যানে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিয়ে আগে করে রাখা পেস্ট দিয়ে দিতে হবে, পুরো মশলাটাকে ভাজতে হবে। এবার বাকি সব মশলা যোগ করতে হবে। এই মিশ্রণে রান্না করা কিনোয়া, মুগ ডাল যোগ করে ভালভাবে মেশাতে হবে। ব্যস, গরম গরম পরিবেশন করলেই স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না!
