ঘর পরিষ্কার, কাচাকুচিতে পরিশ্রম লাগে বটে, কিন্তু বিছানার পর্দা কাচতে লাগে বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে নেট ফ্যাব্রিকের পর্দা হলে তো কথাই নেই। একটু এদিক ওদিক হলেই সব মাটি। নেটের পর্দা থেকে ময়লা তোলাটাই ঝক্কির। কাচার সময় কেটে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও আকছার ঘটে। তাই সদাসতর্ক থাকতে হয়। অনেকে এ কারণে পর্দা ড্রাই ওয়াশ করান। কিন্তু প্রতিবার ড্রাই ওয়াশের খরচও তো অনেক। তাহলে? এখানে মহালয়ার আগে সহজে পর্দা কাচাকুচি, বিশেষ করে নেটের পর্দা কাচার সহজ কিছু টিপস দেওয়া হল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গঙ্গাতীরের 'পরী বাড়ি', থামে-দালানে-ইটে ঠাসা দুর্গাপুজোর ইতিহাস
গরম জল: নেটের পর্দা খুব হালকা হয়। তাই কাচাকুচির চক্করে না গিয়ে গরম জলে ধুয়ে ফেলাই সবচেয়ে ভাল। তবে হ্যাঁ, জলের তাপমাত্রা যেন ৩০ ডিগ্রির বেশি না হয়। একটা বালতিতে ৩০ ডিগ্রি গরম জল এবং গুঁড়ো সাবান ভাল করে মিশিয়ে তাতে নেটের পর্দা ধুয়ে নিতে হবে। সব নোংরা ময়লা গায়েব হয়ে যাবে নিমেষে।
কিছুক্ষণ গরম জলে থাকুক: শুধু নেট ফ্যাব্রিকের নয়, যে কোনও পর্দাই গরম জলে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর আলতোভাবে ঘষে নিলেই ধুলোময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। থুবে কাচার দরকার নেই। খুব জোরে ঘষা কিংবা ব্রাশ ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে কাপড়েরই ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুনঃ পুজোয় চাই বিরিয়ানি, কাবাব, টিক্কা! ঢুঁ মারতে পারেন 'বিরিয়ানি বাই কিলো'য়
অন্য রঙ: নেটের পর্দা সাধারণত সাদা হয়। তাই বালতিতে যেন অন্য রঙের পর্দা বা জামাকাপড় না থাকে। যেহেতু খুব জোরে ঘষে ঘষে কাচা হচ্ছে না তাই ময়লা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে জল বদলে তিন বার কাচলে সবচেয়ে ভাল। পর্দার কোণের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে আর কাচতে হবে কি না। অন্য পর্দার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম, ময়লা তো বেশি হয়, তা যাতে অন্য কাপড়ে না ধরে, সেই জন্যই এই সতর্কতা।
নিংড়ানো মানা: কাচাকুচির পর কাপড়চোপড় নিংড়ে নেওয়া হয়। যাতে বাড়তি জল ঝরে যায়। কিন্তু নেট ফ্যাব্রিকের হোক বা না হোক- পর্দা নিংড়োলে কাপড়ের ক্ষতি হয়। তাই আলতো করে চাপ দিয়ে ময়লা জল বের করে দিতে হবে। শুকোনোর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। অনেকে মেশিনে শুকিয়ে নেন। কিন্তু নেটের এবং অন্য পর্দা কাচার পর তারে বা রডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। তার পর রোদে শুকোবে।