এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, কর্নাটকে প্রতি তিনজনে অন্তত একজন, দিল্লি-এনসিআর-এ প্রতি পাঁচজনে একজন এবং মহারাষ্ট্রে প্রতি ছ’জনে একজন ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। অথবা, তাঁদের কোভিড-এর মতো উপসর্গ রয়েছে।
কেমন উপসর্গ এরিস-এর?
গলা ব্যথা, সর্দি, নাকবন্ধ, হাঁচি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, কফযুক্ত কাশি, কর্কশ কণ্ঠস্বর, পেশিতে ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি। এমনকী ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণও থাকতে পারে।
advertisement
সম্প্রতি দিল্লি-এনসিআর, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের প্রায় ১৯ হাজার বাসিন্দার মধ্যে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। মোট ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ মহিলা উত্তরদাতাকে পাওয়া গিয়েছিল।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ১৬ শতাংশ পরিবারে ভাইরাল জ্বর বা কোভিড-এর মতো লক্ষণ রয়েছে। উপরোক্ত উপসর্গগুলি পরিবারের কতজন সদস্যের রয়েছে জানতে চাওয়া হলে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ মহিলা উত্তর দেন।
দেখা যায় ৭,৬৫২ জন উত্তরদাতার ১২ শতাংশই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাঁদের পরিবারে একজন ব্যক্তি কোভিড বা ভাইরাল জ্বরের লক্ষণগুলি বহন করছেন। ৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারে দু’তিনজন অসুস্থ ছিল। বাকি ৮৪ শতাংশ জানিয়েছিলেন পরিবারে কেউ অসুস্থ নয়।
দিল্লি-এনসিআর-এর ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ পরিবারের কেউ না কেউ জ্বরে ভুগছেন। মোট উত্তরদাতার ৬৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৪ শতাংশ মহিলা ছিলেন। ৭,৮৮৮টি পরিবারের মধ্যে ১৪ শতাংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁদের পরিবারের ২-৩ জন সদস্য অসুস্থ ছিলেন। ৭ শতাংশ পরিবারে একজন অসুস্থ পাওয়া গিয়েছে। ৭৯ শতাংশ পরিবারে কেউ অসুস্থ নন। সামগ্রিক ভাবে, দিল্লি-এনসিআর এলাকায় সমীক্ষা করা পরিবারগুলির ২১ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: কেবল শোভাবৃদ্ধি নয়, এই ১০ ফুল রান্না করে খেয়ে নিন, হাই কোলেস্টেরল থেকে হৃদরোগের যম!
কর্নাটকের এই পরিমাণটা প্রায় ৩৩ শতাংশ। সে রাজ্যে মোট ৩,৫১৯টি পরিবার নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ মহিলা উত্তরদাতাদের মধ্যে অন্তত ১১ শতাংশ জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের চার বা ততোধিক সদস্য অসুস্থ। ২২ শতাংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন ২-৩জন সদস্য জ্বরে ভুগছেন। বাকি ৬৭ শতাংশ পরিবারে কেউ অসুস্থ নন।