ইচ্ছা ছিল নিজের হাতে প্রতিমা তৈরি করে বাড়িতে পুজো করার। যেমন ইচ্ছা ঠিক তেমনই কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিজের হাতেই প্রতিমা তৈরি করে পুজো করা হচ্ছে বাড়িতে। এমনকি মা দুর্গার সাজও নিজের হাতে তৈরি করেন এক যুবক।
আসানসোলের বাড়ির এই পুজোতে মা দুর্গাকে ইলিশ মাছ দিয়ে ভোগ নিবেদনও করা হয়। এই দুর্গাপুজো দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে এই বাড়িতে। বাড়ির সদস্য ও শিল্পী অভ্র সেনগুপ্ত বলেন ‘‘আমাদের এই বাড়ির পুজোটা বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে হয়। এখানে ষোড়শ উপাচারে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজোর এই কয়েকটা দিন আমরা পরিবারের সকলে মিলিত হই। বাইরের আত্মীয়স্বজন আসেন এবং বিদেশে থাকা আমার বন্ধুরাও ওই পুজোতে শামিল হন”। আসানসোল সেনরেলে ই-ব্লকের বাসিন্দা অভ্র সেনগুপ্ত। তাঁর পিতা ও ঠাকুরদার সুনাম আছে এলাকাতে। অভ্র নিজে পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট ও ছবি আঁকতে ভালবাসেন। তাই তুলির সঙ্গেই চলে সময়যাপন ।
advertisement
আজ থেকে কয়েক বছর আগে অভ্রর ইচ্ছা হয়েছিল বাড়িতে প্রতিমা তৈরি করে পুজো করার। তাই অভ্র নিজের হাতেই প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে মায়ের সাজসজ্জা এবং পটচিত্র, সব নিজের হাতেই তৈরি শুরু করেন। সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাঁর বন্ধু, ছোট্ট ভাই বোনেরা।
অক্ষয় তৃতীয়ায় হয়ে যায় মায়ের কাঠামো পুজো। এখানে মা দুর্গার সাবেকিয়ানা ধাঁচে প্রতিমা তৈরি করা হয়। চার দিনই ভোগে থাকে বিশেষত্ব। সপ্তমীতে খিচুড়ি, সাত রকম তরকারি, সাত রকম ভাজা, পরমান্ন, মিষ্টান্ন। অষ্টমীতে পোলাওয়ের সঙ্গে পনিরের বিভিন্ন তরকারি, পরমান্ন ও মিষ্টান্ন থাকে।
আরও পড়ুন : থেকেছিলেন লর্ড ক্যানিং! সাবেকিয়ানায় ডুব দিতে আপনিও ছোট্ট ছুটিতে আসুন চা বাগানের কোলে এই ব্রিটিশ বাংলোয়
নবমীতে হয় রাজসিক ভোগ। যেমন অন্নভোগের সঙ্গে পোলাও ও ইলিশ মাছ দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীতে দেওয়া হয় নবমীর রাত্রে তৈরি করে রাখা পান্তা ভাত, কচুর শাক, বিভিন্ন রকম ভাজা। পাশাপাশি প্রতিমা দর্শনে আগত দর্শনার্থীদের হাতে দেওয়া হয় বাড়ির তৈরি স্পেশাল নাড়ু। তাই দুর্গাপুজোয় আপনাকে একটি বার হলেও আসতে হবে এই সেনগুপ্ত বাড়ির পুজোয়।