শুধু সিদ্ধান্ত নন, একই পরিণতি হয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবেরও। ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে রেখেও লাভ হয়নি। দক্ষিণী সুপারস্টার ৪৬ বছর বয়সি পুনিত রাজকুমারের মৃত্যুও হয় জিমেই। ওয়ার্কআউট সেশনের পর হঠাৎ বুকে ব্যথা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সব শেষ। এত অল্প বয়সে জিম করতে করতে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা কেন ঘটছে?
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে চান? কাঁচা পেঁপে ‘সুপারফুড’, এর উপকার জানলে প্রতিদিন পাতে রাখতেই হবে
চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য জিমই একমাত্র পথ নয়। অন্যান্য ওয়ার্কআউটও করা যায়। তাছাড়া ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত। পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে। বুক ভারী হওয়া, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া এবং চোয়ালে ব্যথার মতো উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করা যাবে না কোনও ভাবেই।
জিমে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অতিরিক্ত পরিশ্রম নয়: স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রমই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই জিম শুরুর আগে একবার চেকআপ করিয়ে নেওয়া উচিত। স্ট্যামিনা, সহনশীলতা কতটা, শরীর কতটা সহ্য করতে পারে তা পরিমাপ করার জন্য স্ট্রেস টেস্ট করা আবশ্যিক। সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে। না হলে বিগড়ে যেতে পারে শরীর। অতিরিক্ত পরিশ্রমে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে জিমের মতো তীব্র ওয়ার্কআউটে ঝুঁকি তো থাকেই।
আরও পড়ুন: গুড় খাওয়ার দিন আসছে, কী ভাবে চিনবেন কোনটা সবচেয়ে বেশি ভাল
জিম করার সময় আরও কয়েকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিমে শরীরচর্চার সময় জিম ট্রেনার বা বলিউড সেলেব্রিটিকে ছাপিয়ে যাওয়ার চিন্তা যেন মাথায় না ঘোরে। প্রতিযোগিতা নিজের সঙ্গে। তাই জিম সেশনকে সহজভাবে নিতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম নয়। খেয়াল রাখতে হবে, ওয়ার্কআউটের জায়গা যেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। অক্সিজেনের কমতি যেন না থাকে। ওয়ার্কআউটের পর অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই ছোট পদক্ষেপগুলি হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।
ট্রেডমিলে হার্ট রেটের ৭০ শতাংশের বেশি নয়: ওয়ার্কআউটের সময় অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। এর সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস এবং ডায়াবেটিক স্টেটাস যুক্ত হলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। পরিমিত ব্যায়াম হার্টের জন্য ভাল। কিন্তু বেশি নয়। ট্রেডমিলে হার্ট রেট নিরীক্ষণ করা উচিত। তা যেন সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দনের ৭০ শতাংশের বেশি না হয়। সাধারণত হার্ট রেট ১৪০/মিনিটের কম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)