এদিকে বহু মানুষের পছন্দের খাবার হল পনির। যে কোনও অনুষ্ঠানে নিরামিষ মেনু আলোকিত করে রাখে পনিরের বিভিন্ন ধরনের পদ। কিন্তু Torii-র নকল পনির বিতর্কে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হওয়ার পর থেকে মানুষ উদ্বেগে ভুগছেন যে, এত দিন ধরে তাঁরা যে পনির খেয়ে এসেছেন, সেটা আসল না কি নকল! এমনকী অনেকের মনে এই প্রশ্নও জাগছে যে, নকল পনির এবং আসল পনিরের মধ্যে ফারাক কি আদৌ বোঝা সম্ভব? আর বোঝা গেলেও সেটা কীভাবে? আজকের প্রতিবেদনে আসল আর নকল পনির বোঝার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
advertisement
টেক্সচার পরীক্ষা:
পনির হাতে নিয়ে তা চাপ দিয়ে এর টেক্সচার পরীক্ষা করতে হবে। পনির নকল হলে তা রাবারের মতো বোধ হবে। এমনকী তা সহজে ভাঙবে না। কিন্তু পনির আসল হলে সেটার উপর চাপ দিলে তা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবে।
স্বাদের পরীক্ষা:
খাঁটি পনির টেস্ট করলে বোঝা যাবে, এর মধ্যে একটা তাজা দুধের মতো স্বাদ রয়েছে। অন্যদিকে নকল পনিরের স্বাদ টক জাতীয় এবং অনেকটা রাসায়নিকের মতোই।
গন্ধ বিচার:
খাঁটি পনিরের গন্ধ বিচার করলে দেখা যাবে, এর থেকে দুধের মতো একটা ভাল গন্ধ বেরোচ্ছে। অন্যদিকে নকল পনিরের গন্ধ সাধারণত টক-টক এবং কৃত্রিম প্রকৃতির।
রঙ এবং সারফেস পরীক্ষা:
খাঁটি বা আসল পনিরের রঙ ধবধবে সাদা হয় না। এর রঙ সাধারণত অফ-হোয়াইট হয় এবং এর সারফেস বা পৃষ্ঠতল মসৃণ হয়। অন্যদিকে নকল পনির আবার অতিরিক্ত সাদা রঙের হয়। এর পৃষ্ঠতল আবার অমসৃণ হয়।
আয়োডিন-স্টার্চ পরীক্ষা:
এর জন্য সেদ্ধ বা বয়েল করা পনিরে আয়োডিন যোগ করতে হবে। তাতে যদি পনির কালো অথবা নীল হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এর মধ্যে স্টার্চ থাকার সম্ভাবনা বেশি। ফলে তা নকল।
সেদ্ধ করার পরীক্ষা:
সেদ্ধ করার পর খাঁটি পনির নরম হয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ভেঙে যাবে। অন্যদিকে নকল পনির রাবারের মতো হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তা দ্রবীভূতও হয়ে যেতে পারে।
ডাল কন্টামিনেশন টেস্ট:
পনিরের জলে তুর ডাল যোগ করতে হবে। এরপর সেই জল যদি লালচে হয়ে যায়, তাহলে তা রাসায়নিক কন্টামিনেশনের ইঙ্গিত হতে পারে।
সয়াবিন পাউডার পরীক্ষা:
পনির সেদ্ধ করার পর তার মধ্যে সয়াবিন পাউডার যোগ করতে হবে। যদি তা লাল হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, পনিরে ইউরিয়ার ভেজাল মেশানো হয়েছে।
স্পর্শের মাধ্যমে পরীক্ষা:
হাত দিলে বা স্পর্শ করলে খাঁটি পনিরকে নরম এবং আর্দ্র বলে মনে হবে। কিন্তু নকল পনির শুষ্ক ধরনের হতে পারে।
রান্নার পরীক্ষা:
রান্না করার সময় খাঁটি পনিরের আকার-আকৃতি একই রকম থেকে যাবে।