বাংলায় এ বছর মহা ধুমধাম। কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই আনন্দ আড়ম্বর একটু বেশিই। প্যান্ডেল থেকে প্রতিমায় বাড়তি চমক। নিরঞ্জনের শোভাযাত্রাতেও বাড়তি আলো। এই উষ্ণতা শীতের চাদরের মতো গায়ে জড়িয়ে নিতে অনেকেই কলকাতায় আসার প্ল্যান করেছেন। তাঁদের জন্য রইল কিছু টিপস। কলকাতায় এসে এগুলো মিস করলে হাত কামড়াতে হবে। আর যাঁরা কলকাতায় আছেন, তাঁরাও একবার পুজোর মুখে গুছিয়ে নিতে পারেন ঘোরাঘুরির হিসেব-নিকেশ- লাভ বই ক্ষতি নেই!
advertisement
যে সব প্যান্ডেল দেখতেই হবে: বাবুবাগান ক্লাব সর্বজনীন দুর্গা পুজো, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, দমদম পার্ক, তরুণ সংঘ, বালিগঞ্জ সাংস্কৃতিক সংঘের পুজো প্যান্ডেল, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, কুমোরটুলি পার্ক, নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো, একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব, মুদিয়ালি ক্লাব, শ্রীভূমি, কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার, মহম্মদ আলি পার্ক, আহিরিটোলা, যোধপুর পার্ক, সেলিমপুর- বহু বছর ধরে মাতিয়ে রেখেছে শহরের পুজো, তাই এগুলো ঘুরে দেখলে কালবাহী সংস্কৃতির আমেজের স্বাদ নেওয়া যাবে পুরোমাত্রায়।
আরও পড়ুন : পুজোর আগে নিমেষে সুন্দরী হতে ভরসা রাখুন নারকেল তেলে
বনেদি বাড়ির পুজো: কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ। বনেদি বাড়ির ইট, কাঠ, পাথরে মিশে আছে ইতিহাস। বারান্দার লোহার রেলিংয়ে জড়ানো মাধবীলতার সঙ্গে সুদূরের যোগ। ঝাড়লণ্ঠনের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। এখনও শহরের বুকে ২০০টি এমন পরিবারে ধুমধাম করে পুজো হয়। কয়েকশো বছরের প্রাচীন রীতি মেনে। নৈবেদ্য থেকে প্রতিমা সবই ঐতিহ্য অনুযায়ী। এগুলোও পুজো দেখার তালিকায় রাখা উচিত। আর কিছু না হলে শোভাবাজার রাজবাড়ি আর সাবর্ণদের পুজো!
কলকাতার রসগোল্লা: রসগোল্লা আর বাঙালি সমার্থক। মিষ্টি দই, সন্দেশ। কলকাতায় এলে এসব চেখে দেখতেই হবে। কয়েক দশক আগে নবীন চন্দ্র দাস রসের ভিয়েনে যে কেরামতি দেখিয়েছিলেন তা আজ বিশ্ববন্দিত। এর স্বাদ না নিলে চলে! সঙ্গে কলকাতার স্ট্রিট ফুড। আর হ্যাঁ, অবশ্যই ঝালমুড়ি।
আরও পড়ুন : ফাউন্ডেশন আর কনসিলারই কামাল দেখাবে, পুজোয় সারাদিন মেকআপ থাকবে তরতাজা, জেনে নিন কী করতে হবে
দশমীর আনন্দ না কি বিষাদ: যাই হোক, দশমী এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এ দিন বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে ফিরে যাবেন মা। মিষ্টিমুখ না করে বাড়ি থেকে বেরনো যায়! মাকে তাই মিষ্টি খাওয়ান গৃহিণীরা। তারপর পান। সবশেষে সিঁদুর খেলা। প্রথমে মাকে সিঁদুর পরানো। তার পর একে অন্যকে। ঢাকের বোলে, ‘আবার এসো মা’। এই অভিজ্ঞতাও ভরে নিতে হবে দুই চোখে, তবেই না পুজো সম্পূর্ণ হবে!