সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে-
হাপুস হুপুস শব্দ, চারিদিক নিস্তব্ধ,
পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।”
শিখা শ্রেয়া, রাঁচি: পদ্যটা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’তে এই প্রসঙ্গে তিনি যা উল্লেখ করেছেন, সেখানে একটু নজর দিতে হয়। লিখেছেন- “ব্যক্তিগত বর্ণনা হইতে চার লাইন উদ্ধৃত করি”। আসলে, ছোটবেলায় কালো আর রোগা বলে বেশ বদনাম ছিল কবির। মা গায়ের রঙ ফর্সা করার জন্য নিয়ম করে মাখাতেন রূপটান আর স্বাস্থ্য ভাল করার জন্য কী কী খাওয়া ছিল বাধ্যতামূলক, তার সাক্ষী তো উপরের চার লাইন দিয়েই দিল।
advertisement
আরও পড়ুন– ‘আট কোটি টাকার কল…’ খুশি মনে ফোন তুললেন মহিলা, মুহূর্তে জীবন নরক; ঘটনা শুনে হতবাক পুলিশও
এখানে নজর করার মতো বিষয় হল কদলী অর্থাৎ কলা। ওটাই ওজন বাড়াবে। তবে সঙ্গে লাগবে আরও কিছু। কবির পাতে আমসত্ত্ব, দুধ আর সন্দেশও ছিল। আমাদের ওজন বাড়াতে চাইলে অতটা গুরুপাক ডায়েটে না গেলেও চলবে।
তাহলে কী করণীয়?
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির একজন সুপরিচিত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. ভি কে পান্ডে (বিএএমএস, ২৫ বছর বয়স) লোকাল 18-কে বলেছেন যে কলা ওজন বাড়াতে খুব কার্যকর। শুধু জানতে হবে কীভাবে খাওয়া দরকার। দুই-তিন ধরনের জিনিস মিশিয়ে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পার্থক্য দেখা দিতে শুরু করবে।
এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবু পরামর্শ দিচ্ছেন বানানা শেক বা স্মুদি খাওয়ার। স্মুদি খেতে চাইলে কলার সঙ্গে মেশাতে হবে সাদা দই আর শেক করতে চাইলে রবীন্দ্রনাথের মতো আমাদেরও অবলম্বন দুধ। তার পর?
বানানা স্মুদি কলা চটকে সাদা দইয়ের সঙ্গে ভাল করে ফেটিয়ে নিলেই হল, আর কিছু করতে হবে না। চাইলে একটু মধু যোগ করা যোগ যেতে পারে। আবার, শুধু মধু দিয়েও কলা খেলে একই কাজ হবে।
অন্য দিকে, বানানা শেক বানাতে চাইলে কলা আর দুধের সঙ্গে মেশাতে হবে কিছু ড্রাই ফ্রুট, যেমন- কিসমিস, কাজুবাদাম, আমন্ড, পেস্তা। চাইলে সবগুলোই দেওয়া যায় বা কিসমিসের সঙ্গে পছন্দের যে কোনও একটা বাদাম। কিসমিস আর বাদাম বেটে, কলা চটকে সেটা দুধের সঙ্গে ভাল করে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিলেই শেক তৈরি!