পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি দুর্বল হওয়ার কারণে আব্দুল জোম্যাটো, সুইগি এবং ওলা সংস্থায় কাজ করতেন ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে। কাজ করার সময়েই এক বন্ধুর পরামর্শে কোডিং-এর কোর্সে নাম নথিভুক্ত করেন। তখন রোজ সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ১২ পর্যন্ত তিনি চাকরি করতেন। দিনের বাকি সময়টা বরাদ্দ ছিল পড়াশোনা এবং অনুশীলনের জন্য।
advertisement
সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি দ্রুত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। আমার বাবা ঠিকাকর্মী। সংসারে আর্থিক অনটন লেগেই ছিল। প্রথম দিকে ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করতে সঙ্কোচই হত। পরে কাজ করতে করতে সাবলীল হয়ে জড়তা কাটিয়ে উঠি। ডেলিভারি বয়ের চাকরিজীবন তাঁর জনসংযোগের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই ধারণা।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেছেন কিছু ছোটখাটো প্রজেক্টে। এর পর কোডিং দক্ষতার উপর ভর করে তিনি চাকরির জন্য আবেদন করতে থাকেন। অবশেষে চাকরি পান সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। নতুন চাকরির দৌলতে এখন তিনিই পরিবারের মূল আর্থিক ভরসা। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল বলছে তিনি পেশাদার হিসেবে কাজ করতে পারেন জাভা স্ক্রিপ্ট, পাইথন, এসকিউএল-এর মতো সফ্টওয়্যার ল্যাঙ্গুয়েজের ক্ষেত্রে।