ত্বকের ধরন বুঝতে হবে:
ত্বক নানা ধরনের হয়। যথা - কম্বিনেশন স্কিন, সেনসিটিভ স্কিন, ডিহাইড্রেটেড স্কিন, নর্ম্যাল স্কিন প্রভৃতি। যে প্রোডাক্টই ব্যবহার করা হোক না-কেন, তা যেন ব্যবহারকারীর ত্বকের ধরনের সঙ্গে খাপ খায়। মুখ ধোওয়ার পর মুখে যাতে টান না-ধরে সে-দিকে নজর দিতে হবে। তাই এমন ফেস ক্লিনজার বাছতে হবে, যা স্কিনকে হাইড্রেট করে। এর পাশাপাশি ত্বক যাতে অতিরিক্ত শুষ্ক অথবা ময়েশ্চারাইজিংয়ের পরে অতিরিক্ত তৈলাক্ত না-হয়ে যায়, সেই দিকটাও দেখতে হবে। তাই লাইট ওয়েট ফেস ময়েশ্চারাইজার এবং বডি লোশন ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পশ্চাদ্দেশের পেশিতে যন্ত্রণা? বড় কোনও রোগ ডেকে আনছেন না তো? দেখুন লক্ষণ মিলিয়ে
এক্সফোলিয়েট:
সপ্তাহে অন্তত দুবার এক্সফোলিয়েশন করার চেষ্টা করাটা অত্যন্ত জরুরি। যাতে মৃত কোষগুলি দূর হয়। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো বিএইচএ-র স্কিনের উপর দারুন এক্সফোলিয়েটিং এফেক্ট রয়েছে। যার ফলে ত্বক তারুণ্যে ভরা থাকে।
আরও পড়ুন: মরশুম বদলের জেরে গলা ব্যথায় জেরবার? ঘরোয়া টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান
অতিরিক্ত ধোওয়া উচিত নয়:
বারবার ত্বক পরিষ্কার করলে স্বাভাবিক ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে থাকে। আরও একটা সমস্যা রয়েছে, আর সেটা হল - বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। তাই দিনের মধ্যে বেশ কয়েক বার হাত ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। বিশেষ করে সেই সময়, যখন হাত সদ্য ধোওয়া হয়েছে। অর্থাৎ হাত ভিজে থাকতে থাকতেই হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। আবার বডি লোশন লাগানোর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম। স্নানের পরে তোয়ালে দিয়ে গা মোছার কিছু ক্ষণ পরে হালকা ভিজে অবস্থাতেই বডি লোশন লাগাতে হবে।
গরম জলে বেশিক্ষণ স্নান নয়:
গরম জলে নয়, বরং ঈষদুষ্ণ গরম জলে দিনে এক বার স্নান করতে হবে। আর স্নানের আদর্শ সময় হল ৫-১০ মিনিট।
হাইড্রেটেড থাকা জরুরি:
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে। ত্বকও হাইড্রেটেড থাকে। সেই সঙ্গে ব্যালেন্সড ডায়েট অভ্যেস করতে হবে। যেমন - ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক এবং আয়রন ডায়েটে যোগ করতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)