এখনও সমাজ অটিজম-এ আক্রান্ত মানুষদের অবহেলা করে। তাঁদের সাধারণ ভাবে মেনে নেয় না। তাই জাতিসংঘ এই দিনটিকে পালন করার কথা বলেছে যাতে সারা বিশ্বে অটিজম-এ আক্রান্ত মানুষরা সামনে আসতে পারে এবং তাঁদের জীবন দেখে সমাজের মানুষ সচেতন হয়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে।
আরও পড়ুন World Autism Awareness Day: যে লক্ষণগুলো বুঝিয়ে দেবে আপনার সন্তান অটিজিমের শিকার
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, প্রতি ১৬০ জন মানুষের মধ্যে একজন অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) থাকে। এদের ছোট থেকেই অটিজম-এর লক্ষণ গুলি দেখতে পাওয়া যায়, যা যৌবন পর্যন্ত থাকে। কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা খুব সাধারণ ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। আর কিছু মানুষ থাকে যাঁরা একেবারে অক্ষম হয়ে বেঁচে থাকেন। তাঁদের সবসময় যত্ন ও সহায়তার প্রয়োজন হয়। ২০০১ সালের আদমসুমারি অনুসারে, ৩৩.৩% ভারতীয় শিশু অটিজম-এ আক্রান্ত বলে জানা যায়।
সমাজের কিছু বদ্ধ ধারণা ভাঙতে দেশের কিছু বড় হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এই দিনটির সচেতনতার কথা মাথায় রেখে বলেছেন- এটা এমন কোন ব্যাধি নয়, যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুকে অবহেলা করতে হবে।
পারস হাসপাতাল গুরুগ্রাম-এর (Paras Hospitals Gurugram) পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড নিওন্যাটোলজির (Paediatrics & Neonatology) বিভাগীয় প্রধান ড. মনীষ মান্নান (Dr Manish Mannan)-এর দাবি, “অটিজম-এ আক্রান্ত শিশুরা অনেক কিছু থেকেই অক্ষম হতে পারে। তবে এমনটাও নয় যে তারা কিছুই করতে পারবে না। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের শেখানো হলে তারা মনোযোগ সহকারে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে”।
ড. মান্নান মনে করেন, জন্মের ২ বছরের মধ্যে যদি অটিজম-এ আক্রান্ত শিশুদের আচরণ লক্ষ্য করেন শিশুর অভিভাবকরা, তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পারেন তাঁরা। সেই সময় থেকে যদি চিকিৎসা করা হয়, তাহলে আগামীতে আনকটা সুবিধা হয় সেই শিশুটির। ড. মান্নান আরও বলেন, “নিয়মিত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি, তাদের প্রতি দিনের জীবনে কোনও পরিবর্তন দেখা গেলে শীঘ্রই যাতে পদক্ষেপ নিতে পারে চিকিৎসকরা”। এই কথাগুলি বলতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন, সারা বিশ্বে এখনও অটিজম-এ আক্রান্ত মানুষরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়। বিশ্বব্যাপী এই চিন্তাধারার পরিবর্তন করতে হবে। সমাজের এমন মানুষদের জন্য আমাদের আরও সংবেদনশীল হওয়ার এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি ও যত্নের সঙ্গে আচরণ করার প্রয়োজন রয়েছে।