TRENDING:

বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিনে তাঁর বলা ১০টা 'দামি' কথা যা জীবন পালটে দিতে পারে

Last Updated:

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বীরসিংহ গ্রামের এই মানুষটির হাত ধরেই বর্ণের সঙ্গে পরিচয় বাংলার । তাঁর বোধোদয়, কথামালার হাত ধরেই শুরু জীবনের বোধোদয় । তৎকালীন ব্রাহ্মণ-প্রভাবিত সমাজে এই ছোটখাটো আকারের মানুষটির জন্যই বিধবা বিবাহ প্রথায় সাহস পেয়েছিল বাঙালি।
advertisement

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর...২০০ তম জন্মদিনে তাঁর বলা ১০টা 'দামি' কথা যা জীবন পালটে দিতে পারে--

১. শিক্ষা মানে শুধুমাত্র লেখা, পড়া বা শেখা নয়। শিক্ষার প্রকৃত অর্থ জ্ঞানলাভ

২. নিজের স্বার্থের আগে সমাজ ও দেশের স্বার্থ দেখাই একজন সত্যিকারের নাগরিকের ধর্ম।

৩. অন্যের কল্যাণের থেকে বড় আর কোনও কর্ম ও ধর্ম নেই ।

advertisement

৪. যাঁরা নাস্তিক, তাঁদের বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা উচিৎ

৫. কোনও ব্যক্তি যদি  প্রকৃত অর্থে ‘বড়’ হতে চান, তা হলে সব চেয়ে 'ছোট' কাজটিও তাঁর করা উচিৎ, কারণ, আত্মনির্ভরতাই সর্বোত্তম গুণ।

৬. দুঃখ, ভোগান্তি ছাড়া জীবন অনেকটা নাবিকছাড়া নৌকার মতো। মাথায় রাখতে হবে, নিজস্ব বিবেচনা শক্তি না থাকলে হালকা বাতাসেই স্থায়িত্ব হারানোর সম্ভাবনা প্রবল।

advertisement

৭. আত্মনিয়ন্ত্রণ বা কোনও কিছু থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করা অনেক সময় বৈষম্যের কারণ হতে পারে। এর মাধ্যমে মধ্যস্থতা, সংযম, মনোযোগ আরও বাড়ে।

৮. মানুষ যত বড়ই হয়ে যাক না কেন, অতীতকে সব সময় মনে রাখা উচিৎ।

৯. সফল হতে চাইলে, মাথা নত করতে শেখা উচিৎ

১০. একজন মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ হল অন্যকে সাহায্য করা, অন্যের মঙ্গল কামনা করা। একমাত্র সেই মানুষই পারে একটি ভাল দেশ গঠন করতে।

advertisement

১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বের অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্ম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শৈশব থেকেই তাঁর প্রতিভা সর্বজনবিদিত। তাঁর পাণ্ডিত্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, কর্মনিষ্ঠা, নির্ভীকতা আজও বাঙালির কাছে এক দৃষ্টান্ত। একাধারে ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, অন্যদিকে দয়ার সাগর । সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার ছিলেন বিদ্যাসাগর। কর্মজীবনের প্রথম দিকে সংস্কৃত কলেজের সহকারী সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হন। পরে সেখানেই লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন। শুধু সাহিত্য নয়, বিধবা বিবাহ, নারীশিক্ষা-সহ একাধিক সমাজ সংস্কারমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিনে তাঁর বলা ১০টা 'দামি' কথা যা জীবন পালটে দিতে পারে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল