বর্তমান সমাজে অনেকেই মনে করেন, যাঁর কাছে টাকা আছে তিনিই সব ক্ষমতার অধিকারী। সম্পর্কের মাঝেও এই বিষয়টি চলে আসে। কোনও সম্পর্কে যদি একজন অন্যের উপরে অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরশীল থাকেন তাহলে যাঁর উপরে নির্ভরশীল তিনি ভাবতে থাকেন সম্পর্কের সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র তাঁর। এর ফলে অন্যজনের মতামত বা সিদ্ধান্তকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
advertisement
দ্বিতীয়ত, কেউ যদি কারও উপরে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হন, তাহলে তিনি নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারেন না। নিজের জন্য কিছু কেনার ইচ্ছা থাকলেও তার জন্য অপর ব্যক্তির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং সেই সামগ্রী কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অন্যের কাছ থেকে নিতে হয়
তৃতীয়ত, অনেকেই বিভিন্ন কারণে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। কিন্তু তা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না কারণ হয় তো তিনি অন্যের উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল। তাই সমস্যা হলেও সম্পর্কের মধ্যে বাধ্য হয়ে থাকতে হয় তাঁদের। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অর্থনৈতিক সাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন।
চতুর্থত, অনেক সময় হয় তো আপনার সঙ্গীর কোনও আচরণ খুবই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। কিন্তু আপনি সে পরিস্থিতি বা সেই বিষয়ের কোনও প্রতিবাদ করতে পারেন না । কারণ, আপনি ভাবেন আপনার সঙ্গী আপনার সমস্ত শখ পূরণ করছেন। তাই আপনাকে বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতেও চুপচাপ থাকতে হয়। এই পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীল হওয়া ভীষণ প্রয়োজন।
পঞ্চমত, সম্পর্কে যিনি রোজগার করেন না তিনি সব সময় তাঁর সঙ্গীর থেকে নিজেকে ছোট ভাবেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও সম্পর্কের মধ্যে এটা আসা কখনই উচিত নয়। কোনও সম্পর্ক মধুর হয় যখন উভয়ে উভয়কেই সমান ভাবেন। তাই সম্পর্কের মধ্যে থাকা উভয়ের অর্থনৈতিক সাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন।