শোধন প্রক্রিয়া
তেল রিফাইনিং প্রসেসের মধ্যে পড়ে ব্লিচিং, ডি ওয়াক্সিং, ডিওডোরাইজিং, ডি গামিং এবং ডি অ্যাসিডিফিকেশন। পরবর্তীতে ক্লোরফিল কনটেন্ট, স্বাদ ও পুষ্টিমূল্য কমে যায় এই তেল থেকে। তাছাড়া এই শোধন প্রক্রিয়ার জেরে এই তেল খাওয়ার ফলে শরীরে অক্সিডেশন ও ইনফ্লেম্যাশনের আশঙ্কা বাড়ে।
রাসায়নিকের ব্যবহার
advertisement
পুষ্টিবিদ রিচার মতে, রিফাইন্ড অয়েলের শোধন প্রক্রিয়ায় ১০ রকমের বেশি রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে। যাতে বীজ বা দানাশস্য থেকে অনেক বেশি তেল নিষ্কাশন বার করা যায়। এর মধ্যে বেশ কিছু রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে মত রিচার।
স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
তেল নিষ্কাশন করার পদ্ধতির সময় বীজ বা দানাশস্যের সব খাদ্যগুণ বর্জিত হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রাকৃতিক গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে পরিপাক প্রক্রিয়া, হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রান্নার মাধ্যম হিসেবে সাদা তেল বা রিফাইন্ড অয়েলকে বর্জন করার কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ রিচা। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন আরও কিছু তেলের কথা। যেগুলি খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন তিনি। সিসেম অয়েল, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং সর্ষের তেলের কথা বলেছেন তিনি। রিচার মতে এই তেলগুলি স্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি নিরাপদ। তবে এ কথাও রিচা মনে করিয়ে দিয়েছেন ডায়েটে কোনও কিছুর আধিক্যই ঠিক নয়। ডায়েটে পরিবর্তনের আগে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।