প্রসঙ্গত পাকিস্তানে ছেলেদের বিয়ের আইনি ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর৷ মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বয়স ১৬ বছর৷ যদিও আন্তর্জাতিক ভাবে ছেলে মেয়ের উভয়ের ক্ষেত্রেই ন্যূনতম আইনি বিয়ে ১৮ বছর৷ ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে নারী পুরুষ দু’জনের জন্যই বিয়ের ন্যূনতম আইনি বয়স ১৮ বছর করার দাবি তোলা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই দাবি শেষ পর্যন্ত আইনে রূপান্তরিত হয়নি৷
advertisement
পাকিস্তান থেকে সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে আরও যে চমকপ্রদ বিষয়টি শোনা যাচ্ছে, তা হল, ওই কিশোর নাকি বাড়িতে বায়না করেছিল তার বিয়ে না দিলে আর লেখাপড়াই করবে না! তার ‘চরম হুমকি’ পাওয়ার পরই টনক নড়ে তার বাড়ির লোকের৷ ব্যবস্থা করা হয় এনগেজমেন্ট বা ‘পাকা কথা’-র৷
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ‘বাত পাক্কি’ অনুষ্ঠানে হবু বিয়ের দিনক্ষণে সিলমোহর পড়েছে৷ সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন কিশোর কিশোরী দু’জনের মা-ই৷ কিশোরীর মা মেনে নিয়েছেন এই সম্পর্ক৷ বলেছেন তাঁর নিজের বিয়ে হয়েছিল ১৬ বছরে৷ সেটা নিয়ে কোনও অসুবিধে হয়নি৷ পাশাপাশি ছেলের মা জানিয়েছেন তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২৫ বছরে৷ তিনি ছেলের এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ সমর্থন করেন৷
তবে এই ঘটনার চরম নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা৷ তাঁদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘এটা খুব বাড়াবাড়ি হয়েছে৷’ আর একজনের মন্তব্য, ওই কিশোরের বাবার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক৷ তাই একমাত্র ছেলের এনগেজমেন্ট করে রাখা হল৷ কোনও নেটিজেন আবার মজা করেছেন এই বলে যে যদি ও কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হত, তাহলে বুঝত সবই পূর্বপরিকল্পিত৷