২০২০ সালের ১০-২৫ এপ্রিলের মধ্যে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি-তে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা-আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২৬ শতাংশের মুখের ভিতরে নানা ধরনের ব়্যাশ বেরিয়েছে। এমনকি হাতে ও পায়ে ব়্যাশ দেখা গিয়েছে। শেষমেশ সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৪৬ শতাংশে। তবে লক্ষণীয় বিষয় হল রোগীদের জিভের অবস্থা। এদের মধ্যে ৬.৯ শতাংশের মুখে আলসার বা ঘা দেখা গিয়েছে। এদের মধ্যে আবার ৬.৬ শতাংশের জিভে একটা পুড়ে যাওয়া ভাব বা প্রদাহের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। জিভের এই ঘা-কে চিকিৎসাবিদ্যায় গ্লসিটিস (Glossitis) বলে। অনেকের ক্ষেত্রে জিভের রং বদলে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু অংশ ফুলে গিয়েছে। দ্য সান-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সমীক্ষা ও সেই প্রতিবেদন সূত্রে খবর প্রায় ৪ শতাংশ রোগীর জিভের উপরে একটি সাদা রঙের আস্তরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
advertisement
ওই গবেষণা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে হাতের তালু ও পায়ের উপরের দিকে বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখা গিয়েছে। ৭ শতাংশেরও বেশি রোগীর শরীরে এরিথ্রোডাইসেসথেসিয়া (Erythrodysesthesia) লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই রোগীদের কথায়, শরীর জুড়ে জ্বালাজ্বালা ভাব, একটা অস্বস্তি ও প্রবল দুর্বলতা অনুভব হচ্ছে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ড. আলমুদেনা নুনো-গোঞ্জালেজ জানিয়েছেন, রোগীরা ভর্তি হওয়ার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই এইরকম নানা ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। এদের মধ্যে ওরাল ক্যাভিটির সংখ্যা একটু বেশি। এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে।
একই কথা বলেছেন কিংস কলেজ লন্ডনের এক এপিডেমিওলজিস্ট টিম স্পেক্টর। তিনিও বেশ কয়েকজন রোগীর ঠিক একইরকম জিভের ছবি শেয়ার করেছেন।