প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোয় নিষ্ঠা ও প্রথা পালনের দিকেই মূল নজর দেওয়া হয়। যা এটিকে আধুনিক বারোয়ারি পুজোগুলি থেকে আলাদা করে। চক্রবর্তী বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোয় এক দিনেই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো সম্পন্ন হয় সেটি হল নবমী তিথি। তবে, দশমীর পুজো হয় নবমীর পরের দিন। যা চিরাচরিত প্রথা মেনে পালিত হয়। দশমীর দিন সন্ধ্যায় ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। এই শোভাযাত্রাও বেশ আকর্ষণীয় হয় – যেখানে আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন বাজনার সমাহার ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুন : ১ চিমটে লেবুর রস আর মধু এভাবে খেলেই গলগলিয়ে সাফ লিভারের মেদ! ফ্যাটি লিভারের অলৌকিক আশীর্বাদ!
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি ইতিহাসের ধারক ও বাহকও বটে। আজও এই পুজো পুরনো দিনের রীতিনীতি বাঁচিয়ে রেখেছে। যা এলাকার মানুষের কাছে এক আবেগ ও গর্বের বিষয়। প্রাচীন এই পুজো দেখতে প্রতি বছরই দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ও দর্শনার্থী ভিড় জমান। তার কারণ এই পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে পাওয়া যায় প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা।