আবার পকোড়ার কথা যখন ওঠে, সবার প্রথমে পেঁয়াজ, পালং শাক, পনির এই সবের কথাই মনে পড়ে যায়। নিরামিষ পকোড়া বলতে গেলে আমরা প্রায় সকলেই পেঁয়াজ, পালং শাক এবং পনিরের পকোড়া খেয়েই অভ্যস্ত। কিন্তু এগুলো ছাড়াও মটরশুঁটির খোসা থেকেও দারুণ সুস্বাদু পকোড়া তৈরি করা যায়। বিশ্বাস না হতে চাইলে রেসিপি তো থাকলই!
advertisement
মটরশুঁটির খোসার পকোড়া সম্পর্কে জেনে অনেকরই অবশ্যই অদ্ভুত লাগতে পারে, জিনিসটা এতটাই অপ্রচলিত যে দোষও দেওয়া যায় না! কিন্তু, এটা একেবারেই সত্যি কথা, যদি কেউ চান, তাহলে এটা ঘরেও বানাতে পারেন। যাঁরা নানারকম খাবার তৈরি করতে এবং খেতে পছন্দ করেন, একঘেয়ে প্রচলিত স্বাদের বাইরে নতুন কিছু সন্ধান করেন, তাঁদের এই মটরশুঁটির খোসার পকোড়া খুবইভাল লাগবে। বহু বছর ধরে মটরশুঁটির খোসার পকোড়া তৈরির কাজ করছেন সবিতা শ্রীবাস্তব। তিনি লোকাল ১৮-কে জানান, প্রথমে মটরশুঁটির খোসার ফাইবার বের করে ফেলতে হবে। এরপর খোসা জলে ধুয়ে ভাপে রান্না করতে হবে। এরপর খোসা গরম জল থেকে তুলে কিছুক্ষণ বাইরে রেখে দিতে হবে যতক্ষণ না জল বের হয়ে যায়। তিনি জানান, এর পর বেসন এবং মশলার মিশ্রণে মটরশুঁটির খোসা ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে নিতে হবে।
সবিতা শ্রীবাস্তব জানান, মটরশুঁটির খোসার পকোড়া তৈরি করতে আলাদা কোনও উপকরণ কিনতে হয় না, সবই যে কারও রান্নাঘরে মজুত থাকে। উপকরণ বলতে কেবল দরকার হয় মটরশুঁটির খোসা, বেসন, নুন, কাঁচা লঙ্কা ইত্যাদি।কেউ যদি সুলতানপুরে আসেন এবং সবুজ মটরশুঁটির খোসর পকোড়া খেতে চান, তাহলে অনায়াসেই তার স্বাদ নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য নৈনা মাতা মন্দিরের সামনে যেতে হবে, সেখানে সবিতা শ্রীবাস্তবের দোকান আছে। আর কী, বাকিটা কেবল সবিতার হাতের গুণ আর মটরশুঁটির খোসার পকোড়ার অনবদ্য স্বাদে মুগ্ধ হওয়ার পালা!