জানা গিয়েছে যে ইউনাইটেড কিংডমের সাটনের ২২ বছর বসয়ী ওই মহিলা জেলারের নাম স্কারলেট অ্যালড্রিক (Scarlett Aldrich)। আর ওই কয়েদির পুরো নাম, তাঁর অপরাধ কী, সে সব কিছু জনসমক্ষে আনতে চায়নি আদালত। কেবল জানিয়েছে যে ওই কয়েদির নাম জোনস (Jones)। কী ভাবে তাঁদের প্রেম হল, কী ভাবে হৃদয়ের খেলায় যুক্তি হারালেন জেলার, সেই খবর সম্প্রতি প্রকাশ করেছে দ্য মেট্রো সংবাদমাধ্যম।
advertisement
জানা গিয়েছে যে ২০১৯ সালে সাটনের এই জেলে আসেন জোনস। এবং জেলের কর্তাব্যক্তিরা লক্ষ্য করেন যে স্কারলেট একটু বেশিই ঘন ঘন কথা বলছেন জোনসের সঙ্গে। তাঁর এক সহকর্মী জানিয়েছেন যে জোনসের সঙ্গে একটা পর্যায়ে স্কারলেটকে দিনে একটানা ২ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে তখনই তিনি স্কারলেটকে সতর্ক করেন, জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
খুব সম্ভবত প্রেমিকের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ থেকেই এবার ভুল পদক্ষেপ করেন স্কারলেট। সকলের সামনে কথা বলা যাচ্ছে না দেখে তিনি একটি মোবাইল ফোন স্মাগল করেন থানায়, কানেকশন সমেত তা তুলে দেন জোনসের হাতে। জোনস এত দিন পর্যন্ত তা সন্তর্পণে লুকিয়ে রাখতে পেরেছিল। সম্প্রতি ধরা পড়ে যাওয়াতেই গণ্ডগোলটা বেঁধেছে।
তবে জোনসের ফোনে কার চিঠি আছে, কার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন, সেই বিষয়টি আগে ধরা যায়নি। শুধু একটি ছবি পুলিশকে অবাক করেছিল। দেখা গিয়েছিল যে জোনসের ফোনে এক মহিলার উরুর ছবি আছে আর তাতে ট্যাটু করা আছে জোনসের নম্বর! নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপের সময়ে জোনসের উরুতে এই রকমই একটি ট্যাটু করা মোবাইল নম্বর দেখে এক নার্সের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি বিষয়টা কর্তৃপক্ষকে জানালে জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হন স্কারলেট।
হাল টাউন কোর্টের বিচারক জন থ্যাকরে এই মামলায় স্কারলেটের ১০ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন যে জেলারদের কয়েদিদের সঙ্গে সংস্রব না বাড়ানোর জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়। সেই ট্রেনিং পেয়েও যে স্কারলেট অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিলেন, তা একই সঙ্গে আতঙ্কের এবং দুঃখের!