আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে যাবেন সেই কবির চুরুলিয়া গ্রামে। এছাড়াও এই মিষ্টি যে দোকানে মিলবে সেটাও জেনে নিন। প্রথমে ট্রেনে বা বাসে আসানসোল আসতে হবে। এর পরে বাসস্ট্যান্ড এসে দোমহনি-চুরুলিয়া রুটের মিনি বাস ধরে সোজা চুরুলিয়া আসতে হবে। এরপরে চুরুলিয়া বাজারে এসে তিন মাথা মোড়ে রয়েছে সাধু সুইটস। এখানেই মিলবে রসলাল মিষ্টি। দেখতে খানিকটা ল্যাংচার মতো। তবে স্বাদ কিন্তু আলাদা। সম্পূর্ণ ছানা দিয়ে কড়া রসে চুবিয়ে তৈরি করা হয় এটি।
advertisement
সমীর সাধুর প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান। দোকানের আলমারিতে সারি সারি সাজানো আছে বিভিন্ন মিষ্টি। সেই মিষ্টির মাঝেই আছে রসলাল মিষ্টি। যে মিষ্টি খেতে আসছেন জেলা-সহ জেলার বাইরের মানুষজন। কিন্তু কী আছে এই মিষ্টিতে? বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা সিউড়ির মোরাব্বার মতই চুরুলিয়ার জনপ্রিয় মিষ্টি খেতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মিষ্টিপ্রেমীরা আসছেন এই দোকানে।
মিষ্টি বিক্রেতা সমীর সাধু বলেন এই রসলাল মিষ্টি মূলত তৈরি করা হয় ভাল ছানা দিয়ে সঙ্গে কড়া রসে ফোটানো হয়। কোনও রকম ভেজাল বা রং এর ব্যবহার করা হয় না। সম্পূর্ণ মিষ্টির রং ফুটে ওঠে রসের মধ্যেই। তিনি প্রত্যেকদিন ৩০০ থেকে ৪০০ পিস মিষ্টি বিক্রি করে থাকেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই মিষ্টি তৈরি করে আসছেন সমীরবাবু।