পুজোর ছুটিতে মন ভাল করতে পরিবারকে নিয়ে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর শাল, মহুয়ার জঙ্গলে হারিয়ে যান। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য দারুণ এই জায়গা। বেলপাহাড়ি থেকে ডানদিকে ৬ কিমি পাকা রাস্তার ওপর দিয়ে গেলে পড়বে ঘাঘরা জলপ্রপাত, রয়েছে তারাফেনী ব্যারেজ। বেলপাহাড়ি থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত গাডরাসিনি পাহাড়, খাঁন্দারানী জলাধার। এছাড়াও চিতি পাহাড় চাতন পাহাড়, গাড়পাহাড়, হাঁসাডুংরি, সজা ডুংরি, তুলসীবনী সরোবর, তুয়ার ডুংরি। শহর কলকাতা থেকে আসা পর্যটকেদের জন্য মিলবে গাইডও।
advertisement
পুজোর ছুটিতে প্রথমেই মনে আসে অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আজকের নয়, চিরকালের। তবে বাইরের জগতের মানুষের কাছে বেলপাহাড়ি পরিচিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলে। জানা যায়, ছয়ের দশকের সময় থেকে দূরের লোকজনদের যাতায়াত বাড়ে। অন্য জেলার ও রাজ্যের। বিনপুর ২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমন ঘোষ জানান গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেলপাহাড়িতে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢেলে সাজানো হয়েছে বেলপাহাড়িকে।
আরও পড়ুন : সর্দিকাশির চিহ্ন থাকবে না! বাতের ব্যথার মোক্ষম দাওয়াই! শুধু ‘এভাবে’ খান শিউলি ফুল ও পাতার রস!
বর্ষায় তো বটেই, পুজো, শীত, বসন্তের উইকএন্ডেও বিপুল জনসমাগম হয়। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা বেলপাহাড়িতে তেমন জনকোলাহল নেই। তবে সারাদিন শোনা যায় নানা রকমের পাখির কিচিরমিচির শব্দ। কিছু চেনা, কিছু অচেনা। তাদের ডাকেই ঘুম ভাঙে নরম ভোরে। অদুরে রোদ ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গলের গাছে গাছে, পাতায় পাতায়। আলোকিত হয়ে ওঠে পাহাড় চূড়াগুলো। বেলপাহাড়ির প্রকৃতি অন্যরকম রূপে সাজে। ছড়িয়ে পড়ে মায়া। ভেজা মাটি, ভেজা-ভেজা গাছগাছালির গন্ধ পরিবেশকে মাতাল করে তোলে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কোন এক অজানায়।