প্রাকৃতিক মিষ্টত্বে ভরপুর গুড় পুষ্টিগুণে ভরা। এতে আছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন। কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে গুড় খাওয়া নিয়ে সতর্ক হতে হবে। কারণ গুড় বেশি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইডিস বাড়তে পারে।
প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম ফ্রুক্টোজ। তাই রোজ বেশি গুড় খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই।
advertisement
অনেক সময়ই গুড় তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। উপাদানও পরিশোধিত হয় না। তাই গুড়ের গুণমান ভাল না হলে পরজীবী থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : আগামিকাল বছরের শেষ পূর্ণিমা! পৌষের পুণ্যলগ্নে করুন এই কাজ, জীবন ভরে থাকবে অর্থ, সুখ ও শান্তিতে
ডায়েটে গুড়ের পরিমাণ বেশি হলে পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, সর্দিকাশি, বমি, মাথাযন্ত্রণার মতো শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই এ বার গুণমান বিচার করেই গুড় কিনবেন। দামের ব্যাপারে আপস করবেন না।
ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজে ভরা গুড় থেকেও বাড়তে পারে ওজন। ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ৩৮৩ ক্যালোরি। তাই যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁরা গুড় খেয়ে রোগা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে দু’বার ভাবুন ।
ডায়েটে স্বল্প গুড় থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ও মেটাবলিজম বাড়ে। কিন্তু বেশি খেলে হজমের গণ্ডগোল হয়। দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যও। প্রকারগত ভাবে উষ্ণ গুড় শরীরে তাপসঞ্চার করে। ফলে হজম বিঘ্নিত হতে পারে। তাই গুড় খান পরিমিত পরিমাণেই।