আমরা সবাই এখন জানি যে করোনার দ্বিতীয় ঝাপটা সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশের। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে যত গর্বই আমরা করি না কেন নিজের দেশ নিয়ে, অন্তত স্বাস্থ্যখাতে তার দশা বেশ করুণ। করোনার এই তুমুল আগ্রাসন ঠেকিয়ে রাখার জন্য প্রাণপাত করে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, কিন্তু তা প্রয়োজনের পক্ষে পর্যাপ্ত নয়- এই উপলব্ধি প্রতি মুহূর্তে আপাদমস্তক কম্পন ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। কোনও হাসপাতালে শয্যা খালি নেই, কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধের অমিল, প্রয়োজনের সময়ে মাথা কুটে মরলেও অক্সিজেনের মতো প্রাথমিক প্রয়োজনটুকুরও ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না- দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠছে প্রতি পদক্ষেপে। আর এখানেই মানুষের একে অপরের পাশে থাকার মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। Twitter, Instagram, Facebook-এ কোথায় গেলে সাহায্য পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে হরেক পেইজ। নিচে তার কয়েকটার উদাহরণ দেওয়া হল-
advertisement
বাদ নেই WhatsApp-ও! এই চ্যাট প্ল্যাটফর্ম এখন দ্রুত প্রয়োজনীয় খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অমোঘ মাধ্যম হয়ে উঠেছে করোনাকালে। পাশাপাশি, স্বেচ্ছা নির্বাসন আর লকডাউনের দিনে মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হয়ে উঠেছে Google। Google Map এখন আমাদের নিকটবর্তী কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার কোথায় আছে, তা দেখিয়ে দিচ্ছে। কোন অঞ্চল করোনাপ্রবণ, তাও জানা যাচ্ছে Google Map-এর ব্যবহারে।
এই জায়গায় এসে একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে! ভুল খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও তো সোশ্যাল মিডিয়ার দুর্নাম বড় কম নয়। কিন্তু এই অভিযোগের সঙ্গেও এখন লড়াই করছে সংস্থাগুলো। রীতিমতো খবর যাচাই করে তবেই কোভিড-সংক্রান্ত তথ্য পাবলিশ করার অনুমোদন দিচ্ছে তারা। যা মানুষকে এই দুর্দিনে ভরসা জোগাচ্ছে।