তাই অধিকাংশ লোকই ছোটেন ডাক্তারের কাছে। ওষুধ খান। তবে ওষুধের পাশাপাশি সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকারগুলি কিন্তু বিস্ময়কর কাজ দেয়। তা ছাড়া এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। শুধু কোনও উপাদানে অ্যালার্জি আছে কি না সেটা জানতে হবে। তাহলেই রান্নাঘরেই মিলবে সর্দি, কাশির মুশকিল আসান।
আরও পড়ুন-মঙ্গলের গোচর! দারুন সাফল্য আসতে চলেছে এই চার রাশির মানুষের জীবনে
advertisement
এক বাটি গরম স্যুপ: স্যুপ সর্দি, কাশির মহাষৌধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টি গুণে ঠাসা শাক সবজি থাকে। ফলে রাতের হালকা এবং সুস্বাদু খাবার হিসেবে এটা তুলনাহীন। গলা ব্যাথায় ভুগলে খিদে চলে যায়। তাই এই সময় অল্প খাবারেও অনেক পুষ্টিগুণ থাকা জরুরি। স্যুপে প্রচুর শাকসবজি থাকায় এটা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের একটি স্বাস্থ্যকর ডোজ হয়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। তা ছাড়া শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। চিকেন স্যুপ ঠান্ডা এবং ফ্লুর উপসর্গের জন্যও ভাল কাজ দেয়। এতে অল্প নুন এবং কালো মরিচ দিলে গলা ব্যথা এবং সাইনাসের ওষুধ হিসেবেও কাজ করবে।
আরও পড়ুন- ধর্মতলাতেই কি ফিরছে ২১ জুলাই সমাবেশ? আগামিকাল প্রস্তুতি বৈঠক তৃণমূলের
রসুন দিয়ে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই: রসুন একটি কার্যকর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং এক্সপেক্টরেন্ট (উপরের এবং নিচের শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা বা থুতু পরিষ্কার করতে সহায়তা করে)। রসুনের ঠান্ডা প্রতিরোধকারী যৌগটিকে অ্যালিসিন বলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রসুন সর্দি-কাশি এবং ফ্লু প্রতিরোধে দুর্দান্ত কাজ দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার একটি গবেষণায় দেখিয়েছে, যাঁরা ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত রসুন খাচ্ছেন তাঁদের প্লাসিবো নেওয়া লোকদের তুলনায় ৬৩ শতাংশ কম ঠান্ডা লেগেছে।
কালো মরিচ দেওয়া চা: কালো মরিচ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ, যা সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস। সর্দি এবং কাশির সময় গলার জন্য ভাল। প্রতিদিনের চায়ের কাপে এক চিমটি সামুদ্রিক লবণের সঙ্গে কালো মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে হবে। নুন গলার কফ এবং শ্লেষ্মা কমায় যা আদতে কাশি কমাতে সাহায্য করে।
গরম দুধে হলুদ বাটা: গরম দুধে বাটা হলুদ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকরী উপায়। হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শুধু সর্দি, কাশি নয়, অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসাতেই সাহায্য করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগ শুকনো কাশিও নিরাময় করতে পারে। তবে খুব বেশি নয়, এক চিমটি হলুদই যথেষ্ট।