হাইপারটেনশন কত রকমের হয়ে থাকে:
১. জানা যায় যে যাঁরা অনেক দিন ধরে হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ৯৫ শতাংশের মধ্যে আবার সব সময়ে রোগের কারণ সনাক্ত করা যায় না। কারণ সনাক্ত করা না গেলে তাকে প্রাইমারি হাইপারটেনশন নামে অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুন – কাড়ি কাড়ি ওষুধ ফেল! হাজার চেষ্টাতেও ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয় না, চমকপ্রদ ‘ফল’ দেবে এই ‘ফুল’!
advertisement
২. যে সব রোগীর হাই ব্লাড প্রেশারের নেপথ্যে কারণ সনাক্ত করা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাকে সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সাধারণত কিডনিতে রক্ত না পৌঁছনো, অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ডের অসুখ এবং টিউমার, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েডের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, খাবার পাতে অত্যধিক নুনের উপস্থিতি, অতিরিক্ত মাত্রায় মদ খাওয়া এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
৩. যাঁদের শরীরে হাই ব্লাড প্রেশারের গুরুতর উপসর্গগুলি দেখা দেয়নি, অথচ মাথাব্যা, ক্লান্তি লেগেই থাকে, মাঝে মাঝে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাকে এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন বলা হয়। সাধারণত নিদেনপক্ষে তিন বার নিয়মিত পরীক্ষার পরে ডাক্তার এই বিষয়ে সচেতন হতে পারেন।
আরও পড়ুন – ব্লাড সুগার থেকে বাঁচতে চান? মেনে চলুন এই কয়েকটি টোটকা, রক্তে চিনি কমবেই
৪. এছাড়াও আইসোলেটেড সিস্টোলিক, ম্যালিগন্যান্ট এবং রেয়ার- এই তিন ভাগে হাইপারটেনশনকে ফেলা হয়।
হাইপারটেনশনের উপসর্গ:
হার্টের অসুখের নেপথ্যে একটি সক্রিয় কারণ হিসেবে কাজ করে হাই ব্লাড প্রেশার, এর জেরে রোগীর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও হয়। তাই হাই ব্লাড প্রেশারের উপসর্গগুলি জেনে রাখা প্রয়োজন এবং দরকার মতো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাও জরুরি। এই উপসর্গগুলি হল-
১. মাথাব্যথা
২. নাক দিয়ে রক্ত পড়া
৩. সব সময়েই ক্লান্তি
৪. দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা
৫. বুকে ব্যথা
৬. শ্বাস নিতে সমস্যা
৭. অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন
৮. মূত্রে রক্তের উপস্থিতি
৯. বুকে, ঘাড়ে বা কানে একটা চাপ সৃষ্টি হওয়া