আরও পড়ুন-রাস্তার ধারে জঞ্জালের মধ্যে ফেলা ছিল মৃতদেহ, প্লাস্টিক খুলে এ কী দেখল পুলিশ!
কিছু সংখ্যক মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার পরে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সাধারণ লক্ষণ বলে গণ্য করা হয়, আবার অনেকের ক্ষেত্রে এমন কোনও কিছুই হয় না। এটি প্রাথমিকভাবে হরমোনের পরিবর্তন, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কারণের জন্য হয়। বর্ধিত ডিম্বাশয়ের কারণে বেশিরভাগ মহিলাই অনেক ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় ভোগেন। ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের আগে কিছুটা বোটিং করা তাই খুবই স্বাভাবিক এবং একবার ঋতুস্রাব শুরু হলে ১০-১২ দিনের মধ্যে ডিম্বাশয় স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসে এবং হরমোনের মাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে যায়।
advertisement
কলকাতার বিড়লা ফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ (Birla fertility & IVF) কনসালটেন্ট ডা. স্বাতী মিশ্রের (Dr. Swati Mishra) মতে, “ওভুলেশনের জন্য ব্যবহৃত ফার্টিলিটির ওষুধ ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, এটি শরীরে জল ধরে রাখতে পারে। এর ফলে শরীরে স্ফীতি দেখা যায়। IVF সাইকেল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতিটি মহিলার ক্ষেত্রে এই ধরনের ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টে ওজন বৃদ্ধি ঘটে না৷ ফার্টিলিটি সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা মহিলাদের কাছে শারীরিক ও মানসিকভাবে খুবই ক্লান্তিকর হতে পারে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মোকাবেলা করার জন্য, মহিলারা প্রায়শই অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে ঝোঁকেন। এই অভ্যাসই ট্রিটমেন্ট সাইকেলের সময় ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে IVF সাইকেল ট্রিটমেন্টের পরে বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করা উচিত নয়। আসলে হরমোনের পরিবর্তনের পরবর্তী প্রভাব হিসাবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যায় যার কারণে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।"
আরও পড়ুন-রাশিফল ১৭ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
তিনি আইভিএফ চিকিৎসার সময় অনুসরণ করা পদক্ষেপগুলির বিষয়ে আরও কিছু মতামত দিয়েছেন, ‘‘আইভিএফ চিকিৎসার সময় তীব্র ওয়ার্কআউট না করলেও পুরোপুরি ব্যায়াম বন্ধ করা উচিত হবে না। একটি সুস্থ শরীরের ওজন বজায় রাখা জন্য ওয়ার্কআউট জরুরি। নিয়মিত শরীরকে কাজের মধ্যে রাখতে হবে, যেমন হাঁটা, নড়াচড়া করা, ব্যায়ামের মতো পেশি সংকোচনমূলক কাজ করা উচিত। এতে রক্তপ্রবাহ ভাল থাকে এবং শরীরের অভ্যন্তরে অক্সিজেন সঞ্চালনেও সহায়তা মেলে।’’