খাজা কাঁঠাল নাকি গোলা কাঁঠাল? এই বিতর্ক সরিয়ে রেখে আগে জেনে রাখা ভাল ভারতীয় উপমহাদেশের এই ফল (Jackfruit) খাদ্যগুণ ও পুষ্টিমূল্যে ভরপুর ৷ আসুন, দেখে নিই এই ফলকে কেন ‘সুপারফুড’ (Superfood) বলা হয় ৷
# ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ সংক্রমণকে প্রতিহত করার শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷
advertisement
# শর্করায় পরিপূর্ণ এই ফলের ১০০ গ্রাম পরিমাণে থাকে প্রায় ৯৪ ক্যালরি! তার ফলে কাঁঠাল খাওয়ার পর দুর্বলতা কেটে যায় ৷ তবে মধুমেহ রোগীদের এই ফল থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় ৷
# কাঁঠালে পটাসিয়ামের পরিমাণ প্রচুর ৷ ফলে মরসুমি এই ফলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে ৷ বিঘ্নিত হয় না রক্ত সংবহন পদ্ধতিও ৷
# পরিমিত পরিমাণে খেলে কাঁঠাল পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে ৷ কারণ অন্যান্য ফলের মতো কাঁঠালও ফাইবারসমৃদ্ধ ৷
# কাঁঠালের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে ৷ ফলে ক্যানসারের আশঙ্কা কম হয় ৷
# ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কাঁঠাল চোখ ভাল রাখে ৷ দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় ৷ ছানি এবং রেটিনার অন্যান্য অসুখকে প্রতিহত করে এই ফল ৷
# শরীরে অকালবার্ধক্য বা জরার ছাপকেও ঠেকিয়ে রাখে কাঁঠাল ৷
# কাঁঠাল ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ৷ এই ফলে হাড় মজবুত হয় ৷ দূরে থাকে হাড়ের জটিল রোগের আশঙ্কা ৷
# থাইরয়েড এবং দূষণ থেকে হওয়া হাঁপানি রোধ করতেও কাঁঠাল কার্যকরী ৷ ফলের পাশাপাশি কাঁঠালের বীজও একাধিক শারীরিক সমস্যার মুশকিল আসান ৷ তাই পাশ্চাত্যের খাদ্যতালিকাতেও এখন এই ‘সুপারফুড’-এর আধিপত্য৷