কোথাও লেখা নেই যে হাত বা পায়ের আঙুল ফোটাতেই হবে, তারপরও আমরা রোজ চেতনে–অবচেতনে আঙুল ফোটাই। কেন ফোটাই? আর আঙুল ফোটালে লাভই–বা কী? ক্ষতির কথাই তো বলেন অনেকে, বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠরা। আঙুল ফোটালে নাকি আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায় ভুগতে হয়। আসলে কোনটা সত্যি?
আরও পড়ুন: পুজোর রূপ-রুটিন, ঘরোয়া এই মাস্কগুলি বানিয়ে চুলের যত্ন নিতে শুরু করুন!
advertisement
আমরা যখন আঙুল ফোটাই, আঙুল গুলোকে আমরা সাধারণত এতটা মোচড় দিই, যতটা স্বাভাবিক ভাবে আঙুলের পক্ষে মোচড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের অস্থিসন্ধিগুলির চারপাশে এক ধরনের তরল থাকে, যেটাকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। যখন আমরা অস্থিসন্ধিগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসি, এই তরলে এক ধরনের শূন্যতা বা ফাঁপা অংশের সৃষ্টি করে। শূন্যস্থানে একটি বুদবুদের সৃষ্টি হয় যা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। এই বুদবুদের ফাটার শব্দটাই আমাদের কানে পৌঁছয়। এটাই হল আঙ্গুল ফোটানোর শব্দের আসল কারণ।
তাহলে প্রশ্ন হল, আঙুল ফোটানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না খারাপ?
চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে, তা জানার আগে বাস্তবে যা হয়, তা নিয়ে খানিকটা কথা বলা যাক। এটা তো সবারই জানা, আঙুল ফোটালে মটমট করে একটা দারুণ শব্দ হয়। স্বীকার করতেই হবে, এই শব্দ কানে আরাম দেয়। আর কানের আরাম প্রশান্তি হয়ে ধরা দেয় মনে। তবে যাঁরা খুব বেশি আঙুল ফোটান বা আঙুল ফোটানোটা যাঁদের মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে, তাঁদের একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এই অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ক্রমশ তাঁদের আঙুলের অস্থিসন্ধিগুলি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেজন্য কাজের ফাঁকে হাত বা পিঠ-কে আরাম দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে আঙুল ফোটানো যেতেই পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বদভ্যাসে পরিণত না হয়। এতে নার্ভের উপরেই বার বার চাপ পড়ে।