ব্লাটারফাই স্ট্রেচ (Butterfly Stretch)
এই ধরনের অনুশীলন আমাদের মেরুদন্ড, উরু ও পেলভিসের পেশীগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। এটি আমাদের পেলভিসের অর্থাৎ কোমর এবং থাইয়ের জয়েন্টকে মজবুত করে স্থিতিস্থাপক অবস্থায় নিয়ে আসে। ফলে ওই অংশে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং প্রসবের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
পদ্ধতি:
মেঝেতে শরীর সোজা করে এবং পা জোড়া অবস্থায় রেখে আরাম করে হাটুর ওপর বসতে হবে। কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে হাটুকে যথা সম্ভব প্রসারিত করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে হাটুকে খুব দ্রুত ওপরে-নীচে নামানো যাবে না। এভাবে ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে বিশ্রাম নিয়ে ৫/১০ বার ব্যায়ামটি করতে হবে।
advertisement
কেগেল এক্সারসাইজ (Kegel Exercises)
এই অনুশীলন অতিরিক্ত প্রস্রবণ, বেশি বয়েসে গর্ভধারণের মতো সমস্যায় সহায়তা করে।
পদ্ধতি:
এক্ষেত্রে প্রথমে পেট, উরু বা নিতম্বের পেশীগুলিকে খুব বেশি সম্প্রসারণ না করে প্রস্রাবের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। সফলভাবে প্রস্রাবের প্রবাহ বন্ধ করতে পারলে বুঝতে হবে আপনি প্লিভিক ফ্লোর মাসলে্র সহায়তায় জড়ায়ু, মূত্রাশয় ইত্যাদি অঙ্গগুলিকে নমনীয় করতে পারছেন। এক্ষেত্রে একেকবারে ১৫ সেকেন্ড ধরে রেখে এবং ১০ বার পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
পেল্ভিক টিল্ট (Pelvic Tilt)
পেল্ভিক টিল্ট আমাদের উদরের পেশীগুলিকে উত্তেজিত ও সক্রিয় করে। এতে প্রসবের সময় পিঠের ব্যথা কম হয়।
পদ্ধতি:
প্রথমে হাত এবং হাটুর সাহায্যে আরামদায়ক অবস্থানে বসতে হবে, মাথাকে সোজাভাবে শরীরের সমান্তরালে রাখুন। এরপর পেটের অংশ টানটান রেখে পিঠকে সোজা করতে চেষ্টা করতে হবে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থানটি ধরে রেখে তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অন্তত ৫ বার করতে হবে।
স্কোয়াটিং (Squatting)
স্কোয়াটিং প্রসবের স্থানের সম্প্রসারনে সহায়তা করে।
পদ্ধতি:
এক্ষেত্রে দেওয়ালে সঙ্গে পেছন দিয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর পা কাঁধের প্রস্থের বরাবর প্রাচীর থেকে দূরে রেখে স্কোয়াটিং পজিশনে রেখে ধীরে ধীরে বসতে হবে। ১০ সেকেন্ড এই অবস্থানে থেকে আবার দেওয়াল ধরে ধীরে ধীরে দাঁড়াতে হবে। এটি ৫-১০ বার করতে পারলে ভালো।
শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন (Breathing Exercise)
অনেকটা সময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাসের নেওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভালো। এতে ডেলিভারির সময় ব্যথা থেকে খানিক উপশম পাওয়া যাবে।