রেটিনোপ্যাথি:
চোখের পিছনের অংশ বা রেটিনার রক্তবাহী নালিকাগুলির সংবেদনশীল কলাকোষের ক্ষতি করে। এর ফলে চোখে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে, এমনকী দৃষ্টিশক্তি নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আসলে রেটিনায় রক্ত সরবরাহ কমে আসে, এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসতে শুরু করে। তাই হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল বাড়ায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি! সাবধান হন, এই ৫টা খাবার কোলেস্টেরল কমায়
রেটিনায় ফ্লুয়িড তৈরি হওয়া:
এর ফলে ডিসটর্টেড ভিশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি:
রক্ত সরবরাহ আটকে গেলে অপটিক নার্ভের ক্ষতি হয়। এর ফলে আংশিক ভাবে কিংবা সম্পূর্ণ রূপে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
স্ট্রোক এবং তার প্রভাব:
উচ্চ রক্তচাপের জেরে স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এতে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকী মস্তিষ্কের সেই অংশের ক্ষতি করে, যেখানে কোনও কিছুর ছবি স্পষ্ট ভাবে ফুটে ওঠে।
হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির উপসর্গ:
সাধারণত এর কোনও উপসর্গ থাকে না। চোখের রুটিন পরীক্ষার সময়েই মূলত এই রোগ ধরা পড়ে। গুরুতর রোগ এবং হাইপারটেনশন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা এবং দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাস কি আতঙ্কের আর এক নাম? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ
চিকিৎসা:
এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার জন্য সুস্থ জীবনযাপন করা জরুরি। ফলে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন করতে হবে। এতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মৃদু হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির উপসর্গ প্রকট হয় ১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নন-ডায়াবেটিক মানুষের মধ্যে। হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথির উপসর্গগুলির সঙ্গে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতির সম্পর্ক রয়েছে।