আসলে বাচ্চাদের শরীর আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত গরমের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না। এর কারণেই মূলত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎকরা। জেলা হাসপাতালের ওপিডিতে বয়স্ক রোগীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি বাড়ছে শিশুদের সংখ্যা। হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মতে ওপিডিতে প্রতিদিন দেড় শতাধিক রোগী প্রায় একই রকমের সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি, পেটে ব্যথা, জ্বর বা ভাইরাল সংক্রমণের মতো সমস্যা নিয়ে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এই উপাদানেই ঝটপট গলবে চর্বি! পেটের মেদ উধাও হয়ে মিলবে টানটান ফিগার
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা প্রখর রোদের হাত থেকে শিশুদের বাঁচানোর জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছেন। সাধারণ অধিকাংশ শিশুই মর্নিং স্কুলে পড়াশোনা করে, ফলে স্কুলে যাওয়ার সময় আবহাওয়া শীতল থাকলেও স্কুল থেকে ফেরার পথে তাদের প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসতে হয়। সূর্যের তাপ সহ্য করতে না পেরে তারা সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নীতেশ বাইশের মতে, গরমে শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ গরমে শিশুদের সমস্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি হয়। তাই এই সময়টায় বাবা-মায়েদের বাচ্চাদের বেশি যত্ন নিতে হয়। এর পাশাপাশি পরিবর্তনশীল ঋতুতে ভাইরাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যতটা সম্ভব পারা যায় করোনা প্রটোকল মেনে চলতে হবে। বাড়ির খাবারে একদমই বেশি তেল দেওয়া উচিত নয়। বাচ্চাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে। বাচ্চা যাতে একেবারেই কড়া রোদে ঘর থেকে বের না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। বাড়ির কোনও শীতল জায়গায় বাচ্চাদের খেলাধুলোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাচ্চাদের মধ্যে কোনও প্রকারের স্বাস্থ্যসমস্যা দেখলেই অবিলম্বে তাদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।