অ্যাজমা বা হাঁপানি হল প্রদাহজনিত বা ইনফ্লেমেটরি সমস্যা। আসলে শ্বাসনালী বিভিন্ন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসে। তাতে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় এবং ফুলে ওঠে। যে কোনও মরশুমের শুরুতে শ্বাসনালীর পেশিগুলিতে স্প্যাজম হয়। যার ফলে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। মরশুম বদলের কারণে অ্যাজমার উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আর অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলারের গুরুত্ব কতটা, সেই বিষয়েই জানালেন কলকাতার পালমোনোলজিস্ট ডা. প্রদীপ মণ্ডল।
advertisement
মরশুম বদলের সময় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইনহেলারের প্রয়োজনীয়তা:
অ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার আগে মরশুম বদলের সময় সম্ভাব্য ট্রিগারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। উপসর্গে পরিবর্তন লক্ষ্য করলে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এর পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রেগুলার ইনহেলেশন থেরাপি অবলম্বন করতে হবে। সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাজমার মতো ক্রনিক শ্বাসজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ইনহেলেশন থেরাপি দুর্দান্ত চিকিৎসার পন্থা হিসেবে গণ্য হচ্ছে, কারণ-
ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধটা সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। এটা খাওয়ার ওষুধের থেকে অনেক বেশি কার্যকর।
নির্দিষ্ট পরিমাপ করা ওষুধের ডোজ সরাসরি ভাবে শ্বাসনালিতে সরবরাহ করে ইনহেলার। যার ফলে ডোজ কখনওই বেশি হতে পারে না। আর খাওয়ার ওষুধের থেকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ভাবে ইনহেলার ব্যবহার করলে অ্যাজমার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইনহেলার সব বয়সের রোগীই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ইনহেলারের সঙ্গে একটা স্পেসার ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত।
এ-ছাড়াও মরশুম বদলের সময় কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা বাঞ্ছনীয়। তার মধ্যে অন্যতম হল বার্ষিক ফ্লু শটস নিতে হবে। এর পাশাপাশি বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। সব সময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে ও তা বারবার মুখে লাগানো চলবে না। এমনকী বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরতে হবে। দূষণের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। এ-ছাড়া কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে। আর এ-ভাবেই অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
