TRENDING:

Asthma: মরশুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় অ্যাজমা, সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলার কতটা উপকারী? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Last Updated:

Benefits Of Using Inhalers: মরশুম বদলের কারণে অ্যাজমার উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আর অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলারের গুরুত্ব কতটা, সেই বিষয়েই জানালেন কলকাতার পালমোনোলজিস্ট ডা. প্রদীপ মণ্ডল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: শীত বিদায় নিতে না-নিতেই তীব্র গরমে প্রায় অতিষ্ঠ হওয়ার জোগাড়। আর এই মরশুম বদলের জেরে নানা ধরনের রোগ প্রকট হয়ে ওঠে। যার মধ্যে অন্যতম হল অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো ক্রনিক শ্বাসজনিত রোগ। আসলে মরশুম বদলের ফলে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে। আর বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জেন প্রকট হয়। বসন্তের সময় অতিরিক্ত পোলেন বা পরাগ রেণু কিংবা গরমের সময় ধুলো-দূষণ প্রভৃতি ধরনের অ্যালার্জেন আমাদের ফুসফুসে পৌঁছে যায়। ফলে শ্বাসজনিত নানা উপসর্গ ট্রিগার করে।
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলার কতটা উপকারী?
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলার কতটা উপকারী?
advertisement

অ্যাজমা বা হাঁপানি হল প্রদাহজনিত বা ইনফ্লেমেটরি সমস্যা। আসলে শ্বাসনালী বিভিন্ন অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসে। তাতে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় এবং ফুলে ওঠে। যে কোনও মরশুমের শুরুতে শ্বাসনালীর পেশিগুলিতে স্প্যাজম হয়। যার ফলে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। মরশুম বদলের কারণে অ্যাজমার উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আর অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলারের গুরুত্ব কতটা, সেই বিষয়েই জানালেন কলকাতার পালমোনোলজিস্ট ডা. প্রদীপ মণ্ডল।

advertisement

মরশুম বদলের সময় অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইনহেলারের প্রয়োজনীয়তা:

অ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার আগে মরশুম বদলের সময় সম্ভাব্য ট্রিগারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। উপসর্গে পরিবর্তন লক্ষ্য করলে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এর পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রেগুলার ইনহেলেশন থেরাপি অবলম্বন করতে হবে। সমস্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাজমার মতো ক্রনিক শ্বাসজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ইনহেলেশন থেরাপি দুর্দান্ত চিকিৎসার পন্থা হিসেবে গণ্য হচ্ছে, কারণ-

advertisement

ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধটা সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। এটা খাওয়ার ওষুধের থেকে অনেক বেশি কার্যকর।

নির্দিষ্ট পরিমাপ করা ওষুধের ডোজ সরাসরি ভাবে শ্বাসনালিতে সরবরাহ করে ইনহেলার। যার ফলে ডোজ কখনওই বেশি হতে পারে না। আর খাওয়ার ওষুধের থেকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ভাবে ইনহেলার ব্যবহার করলে অ্যাজমার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

advertisement

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইনহেলার সব বয়সের রোগীই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ইনহেলারের সঙ্গে একটা স্পেসার ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন- স্তন ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভের পরেও কি মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? আলোচনা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চিনি-গুড়ের রসে তো অনেক হল! রসগোল্লায় এবার মিলছে কাঁচা লঙ্কার ঝাল স্বাদ
আরও দেখুন

এ-ছাড়াও মরশুম বদলের সময় কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা বাঞ্ছনীয়। তার মধ্যে অন্যতম হল বার্ষিক ফ্লু শটস নিতে হবে। এর পাশাপাশি বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। সব সময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে ও তা বারবার মুখে লাগানো চলবে না। এমনকী বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরতে হবে। দূষণের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। এ-ছাড়া কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে। আর এ-ভাবেই অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Asthma: মরশুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় অ্যাজমা, সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ইনহেলার কতটা উপকারী? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল