বিশিষ্ট চিকিৎসক ও ক্যানসার সার্জন জিভি রাজু জানাচ্ছেন সিলিয়াক রোগে কোনও অঙ্গ আক্রান্ত হলেও পেটে ব্যথা হতে পারে। পরিপাকতন্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত্র, যকৃতে কোনও সমস্যা থাকলে পেট ফুলে যেতে পারে। পেট ব্যথাও হতে পারে।
ইদানীং বহু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন। দিনের পর দিন ফাস্টফুড-সহ বিভিন্ন বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে নানা রকম পেটের অসুখ হয়। ক্রমাগত গ্যাস্ট্রিক থেকে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।
advertisement
পেটে গ্যাস, ব্যথা, অল্প পরিমাণ খাবারেও বদহজম, পেটে জ্বালাপোড়া হলেই আমরা হজমের ট্যাবলেট খেয়ে নিই। কিন্তু এগুলি স্থায়ী সমাধান নয়।
সিলিয়াক ডিজিজের প্রধান কারণ—
ইদানীং মদ্যপান, ধূমপানের প্রবণতা যেমন মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে মানসিক চাপও। বয়স নির্বিশেষে যা মানুষের পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করছে। অতিরিক্ত মদ্যপান এবং গ্রিলড মাংস ও অতিরিক্ত লবণযুক্ত শাকসবজি খাওয়ার কারণে সিলিয়াক রোগ বাড়ছে। এগুলি এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যকর।
রোগের উপসর্গ—
পেট ফাঁপা, ক্ষুধামন্দা, অম্বল ও পেটে ব্যথা প্রধান লক্ষণ। তাদের পাশাপাশি বমি ও ডায়েরিয়াও হতে পারে। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, মলের রঙ কালো হয়ে যাওয়া, কখনও কখনও মলের সঙ্গে রক্তপাত, হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎকের কাছে যেতে হবে।
মনে রাখতে হবে—
প্রতিদিনের খাদ্য ও পানীয় বিশুদ্ধ হতে হবে। বেশি করে সিদ্ধ ও ঠাণ্ডা জল পান করতে হবে। প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
কোনও রকম পেটের সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কোনও ভাবেই নিজে নিজে চিকিৎসা করা ঠিক হবে না। রান্নার ক্ষেত্রে ঝাল ও মশলা কমাতে হবে। বেশি করে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। অ্যালকোহল পানের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।
একই তেলে বার বার ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, মশলা খাওয়াও স্বাস্থ্যকর নয়।