TRENDING:

সঙ্গিনীর দেহের এই অংশ লেহন কি বিকৃতকামিতা ? পথ দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

এই বিশেষ আদরের ধরনের সঙ্গে যে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, সে কথা এই পর্বে আমাদের স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সঙ্গমে সঙ্গী/সঙ্গিনীর দেহের বিশেষ কিছু অংশ লেহন এক দিকে যেমন ব্যক্তিবিশেষের প্রবণতার উপরে নির্ভর করে, তেমনই এটাও আবার অস্বীকার করা যায় না যে এর মধ্যে দিয়েই পৌঁছে যাওয়া যায় রতিসুখের শিখরে। কিন্তু এই বিশেষ আদরের ধরনের সঙ্গে যে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, সে কথা এই পর্বে আমাদের স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল।
advertisement

পল্লবী এই পর্বে তুলে ধরেছেন এক পাঠকের চিঠির কথা। এই পাঠক জানিয়েছেন যে তিনি সঙ্গমকালে স্ত্রীর যোনি লেহন করে আনন্দ পান। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর কাছে বিষয়টিকে ঘৃণ্য বলে মনে হয়। তাই তিনি সচরাচর স্বামীকে নিজের ব্যক্তিগত অঙ্গে জিহ্বা প্রবেশ করানোর অনুমতি দেন না।

কী ভাবে এই সমস্যার প্রতিকার করা যায়, তা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞা তুলে ধরেছেন মহিলাদের এক বিশেষ মানসিক প্রবণতার কথা। তিনি জানিয়েছেন যে অধিকাংশ মহিলাই তাঁদের ব্যক্তিগত অঙ্গকে পরিচ্ছন্ন বলে মনে করেন না, ফলে যৌনসঙ্গী তা লেহন করতে চাইলে তাঁরা অস্বস্তি বোধ করে থাকেন। পল্লবীর দাবি, এই মানসিকতা আদতে তৈরি হয়েছে সমাজের চাপে।

advertisement

বিশেষজ্ঞা জানাতে ভোলেননি যে যৌনাঙ্গ নিয়ে ছোট থেকেই শিশুদের একটা ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে রাখে সমাজ। তারা সেই অঙ্গ স্পর্শ করলে তাদের কঠোর ভাবে শাসন করেন অভিভাবকেরা। সেই সঙ্গে যৌনাঙ্গ যে একটি অপরিচ্ছন্ন স্থন, সে কথাটাও মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পল্লবী বলছেন যে এটি শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের মতোই, যদি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়, তবে যৌনাঙ্গ লেহন কোনও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে না।

advertisement

এর সঙ্গে পল্লবী একটি তীর্থক্ষেত্রেরও উদাহরণ তুলে ধরেছেন। এটি একান্নপীঠের অন্যতম অসমের কামাখ্যাধাম, যেখানে দেবীকে আরাধনা করা যোনিরূপে। তাঁর দাবি, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া অর্থহীন যে নারী এবং তার এই অঙ্গ অমিত শক্তির ধারক, এই পথেই সন্তান পৃথিবীতে আসে। অতএব, তা অপবিত্র হতে পারে না।

তাই পল্লবী এই সব বিষয়গুলি নিয়ে যাঁরা এই সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গিনীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলছেন। বলছেন, যোনি নিয়ে যে ফটেোগ্রাফি শিল্প রয়েছে, যাকে ইংরেজিতে Labia Gallery বলে, তার সঙ্গেও সঙ্গিনীদের পরিচয় করানোটা জরুরি, তাতে তাঁদের মন থেকে হীনম্মন্যতা দূর হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজো বাজারে এবার নতুন চাপ! ফুল কিনতে গিয়ে নাকানিচোবানি না খেতে হয়
আরও দেখুন

যদিও সব শেষে একটা বিষয় মাথায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞা- এই মনোভাব পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। তাই সঙ্গিনীকে সময় দিতে হবে। পাশাপাশি, সরাসরি যোনির গভীরে জিহ্বা প্রবেশ না করিয়ে তার চার পাশে আদর করা যায়। এক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রবল হয়ে উঠলে একসময়ে সঙ্গিনী নিজেই যোনিলেহনে সায় দেবেন, তাঁর মন থেকে দ্বিধা দূর হবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
সঙ্গিনীর দেহের এই অংশ লেহন কি বিকৃতকামিতা ? পথ দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল