শহরবাসীর স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে, তার জন্য এমনই এক ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক ব্যবসায়ী। শহরের দাবা বাজারের কাছে মধু মিলন চকে রয়েছে জৈন জ্যুস সেন্টার। প্রায় ৪০ বছর ধরে এই দোকান চালাচ্ছেন তিনি। আশ্চর্যের বিষয় হল, এখানে ১০০টিরও বেশি ধরনের জ্যুস এবং ভেষজ পানীয় পাওয়া যায়। আর এই দোকানের অ্যালোভেরা জ্যুসের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। আর এটা স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
advertisement
দোকানের সূচনা:
প্রায় ৪০ বছর আগে এই দোকানটি শুরু করেছিলেন প্রকাশ চাঁদ জৈন। এর পর তাঁর পুত্র মুকেশ জৈন এই দোকান চালানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। বর্তমানে তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দায়িত্ব পেয়েছে। প্রকাশ চাঁদের নাতি শুভম জৈন এখন দোকানের ভার সামলাচ্ছেন। আগে ২ টাকায় বিক্রি হত এক গ্লাস জ্যুস। কিন্তু বর্তমানে এক গ্লাস জ্যুসের মূল্য প্রায় ৪০-৫০ টাকা। নানা গবেষণা করে বর্তমানে জ্যুস তৈরির প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নতুন পানীয় উদ্ভাবনও করা হয়েছে। মূলত গ্রাহকদের কাছে স্বাস্থ্যকর পানীয় পৌঁছে দিতেই বদ্ধপরিকর তাঁরা। এমনটাই জানালেন জ্যুসের দোকানের মালিক।
আরও পড়ুন: ৪০ পার হলেও বাড়বে না বয়স, রইল ম্যাজিক-টিপস!
বিশেষ অ্যালোভেরা জ্যুস:
দোকানের বর্তমান মালিক শুভম জানাচ্ছেন যে, তাঁর একটি ডায়েরি রয়েছে। যেখানে সব ধরনের ভেষজ জ্যুসের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য লেখা আছে। এখানেই শেষ নয়, এই সব পানীয় পান করার উপকারিতা, সঠিক সময়ও ওই ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন তিনি। এমনকী কোন উপায়ে পানীয় সেবন করা উচিত, যাতে শরীরের ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়গুলিও লিখে রাখা থাকে। এমনকী অ্যালোভেরা জ্যুসের উপকারিতার কথাও রয়েছে। বলা হয়েছে যে, চর্মরোগ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি এই অ্যালোভেরা জ্যুস। আর এই পানীয় তৈরি করার জন্য দোকানের ছাদেই অ্যালোভেরার বাগান করা হয়েছে।