বর্ষা হোক বা গরমকাল, একবার আরশোলা ঘরে ঢুকে পড়লে তারা সহজে যায় না। রান্নাঘর, খাবারের জিনিস, বাসনপত্র, সিঙ্ক—সব জায়গায় লুকিয়ে থাকে। এগুলি সবকিছু নষ্ট করে এবং আপনার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এক-দুটি থাকলেও ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। মার্কেটে যে কেমিক্যাল স্প্রে পাওয়া যায় তা অনেকসময় কাজে আসে না। আবার ভুল করে চোখে-নাকে চলে গেলে আলাদা সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ঘরেই বানিয়ে নিন ন্যাচারাল লিকুইড স্প্রে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিপ্রা রায় নিজের ইনস্টাগ্রামে এই রেসিপি শেয়ার করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হার্ট ফেল ও লিভার সিরোসিসে ভোগা ১৪৬ কেজি মহিলার সফল অস্ত্রোপচার! নতুন জীবন পেলেন রোগী…
কীভাবে বানাবেন ককক্রোচ কিলিং স্প্রে: যদি দেখেন ঘরের কোণ, ড্রয়ার, টয়লেট, বাথরুম, রান্নাঘর বা ঘরের মধ্যে কোথাও একটি আরশোলা আছে, তবে দেরি করবেন না। কারণ খুব দ্রুত সংখ্যায় বেড়ে যাবে। প্রতিদিন মারলেও শেষ করা সম্ভব নয়। বরং সহজেই তৈরি করুন এই দেশি নুসখা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: কালো মরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, একটি বাটি, স্প্রে বোতল, টুথপেস্ট, জল
লিকুইড বানানোর পদ্ধতি: একটি বাটিতে এক কাপ জল নিন। এখন মিক্সিতে লবঙ্গ, তেজপাতা ও কালো মরিচ গুঁড়ো করে নিন। এই গুঁড়ো জলেতে মিশিয়ে দিন। তারপর ছেঁকে অন্য বাটিতে ঢালুন। এরপর এক চামচ টুথপেস্ট মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে মেশান যাতে পুরোপুরি মিশে যায়।
আরও পড়ুন: অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকছে নকল পনির, ভেজাল মশলা ও কীটনাশকে ভর্তি সবজি! সতর্ক না হলে কী কী হবে জানুন…
স্প্রে বোতলে ভরুন: এই লিকুইড স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এখন যেখানে আরশোলা দেখা গেছে সেখানে স্প্রে করুন। বিশেষ করে রান্নাঘরের কোণায় ভালোভাবে ছিটিয়ে দিন। রাতে শোবার আগে ব্যবহার করলে বেশি উপকার হবে, কারণ অন্ধকারে ও শান্ত পরিবেশে তারা বেরোয়। চাইলে কটন বল ভিজিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখতে পারেন। প্রথম কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন।
কীভাবে কাজ করে এই ঘোল: লবঙ্গ, কালো মরিচ ও তেজপাতার গন্ধ খুবই তীব্র। এই ধরনের গন্ধে পোকামাকড় দূরে সরে যায়। আরশোলা এই গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কালো মরিচে থাকা পাইপেরিন কম্পাউন্ড এটিকে ঝাঁঝালো করে তোলে। এই লিকুইডের সামান্য ফোঁটাও আরশোলার গায়ে পড়লে তাদের প্রচণ্ড জ্বালা হয়। ফলে তারা সেই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যায়।