সকল উৎসবের আচার বা নিয়মেই এই মিষ্টি জাতীয় খাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ হলেও দুর্গা পূজা হল সবথেকে বড় উৎসব। এই উৎসবে মিষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মায়ের ভোগ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ছাড়া প্রায় অসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন পুজোয় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। অনেক জায়গায় এই রীতি প্রায় ১০০ বছরেরও পুরনো। বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজার অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়ার পর মায়ের ভোগ এই মিষ্টি ছাড়া ভাবাই যায় না।
advertisement
তাই অষ্টমীতে মিষ্টিমুখ করার জন্য খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যেতে পারে নানা ধরনের মিষ্টি। এর মধ্যে নারকেলের ক্ষীর হল একটি সুস্বাদু মিষ্টি জাতীয় খাবার। দুর্গা পুজায় অঞ্জলি দেওয়ার পর সবাইকে নিয়ে মিষ্টিমুখ করার জন্য বাড়িতেই বানানো যায় নারকেলের ক্ষীর।
নারকেলের ক্ষীর বানানোর উপকরণ
১ - ২ কাপ নারকেল কোরা (Desiccated Coconut)।
২ - ১/২ থেকে ২ কাপ দুধ (Milk)।
৩ - ৩/৪ কাপ কন্ডেন্সড মিল্ক (Condensed Milk)।
৪ - ২ চা চামচ খেজুরের গুড় (Date Jaggery)।
৫ - ১/২ চা চামচ সবুজ এলাচের গুঁড়ো (Green Cardamom Powder)।
৬ - একমুঠো মিক্সড ড্রাই ফ্রুট (Mixed Dry Fruit)।
৭ - একমুঠো আমন্ড (Almond)।
৮ - একমুঠো কাজুবাদাম (Cashews)।
নারকেলের ক্ষীর বানানোর পদ্ধতি
স্টেপ ১ - প্রথমেই নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। এর পর খেজুরের গুড়ের সঙ্গে সেটি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
স্টেপ ২ - এর পর একটি পাত্রে কম আঁচে ভালো ভাবে দুধ ফোটাতে হবে, সেটি ঘন হয়ে গেলে সেই নারকেলের কোরার মিশ্রণটি তার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এর পর সেটিকে ভালো ভাবে মেশাতে হবে। এর পর সবুজ এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে হবে। সেই মিশ্রণটিকে কম আঁচে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে।
স্টেপ ৩ - সেই মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে তার মধ্যে মিক্সড ড্রাই ফ্র্যুট, আমন্ড এবং কাজুবাদাম মিশিয়ে দিতে হবে। এবার তৈরি নারকেলের ক্ষীর। এটি ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
নারকেলের ক্ষীর আরও সুস্বাদু করতে চাইলে এর মধ্যে নারকেলের জলও দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া এর মধ্যে যোগ করা যেতে পারে কিছু নারকেলের টুকরো। এভাবেই ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলা যাবে নারকেলের ক্ষীর। দুর্গা পূজাকে আরও রঙিন করে তুলতে, নারকেলের ক্ষীর দিয়ে করা যেতেই পারে অষ্টমীর মিষ্টিমুখ!